খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে যা জানালেন চিকিৎসকরা।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সোমবার ৭টি টেস্ট করা হয়েছে। তার হার্টে ৩টি ব্লক ছিল। এর মধ্যে একটিতে আগেই রিং পরানো হয়েছে। বাকি ২টির জন্য চিকিৎসা করতে হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাড়িতে পৌঁছেছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পর্কে ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করে যদি তার চিকিৎসায় কোনো পরিবর্তন পরিবর্ধন প্রয়োজন পড়ে সেটি আমরা অন্যদের সাথে আলোচনা করে এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহধর্মীনিসহ অন্যদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। আজকে রাতেও মেডিকেল টিম আসবে। কাল রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর আবারও মেডিকেল বোর্ড সেগুলো পর্যালোচনা করবে। এরপর ওনার শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি ও সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে আমরা আরও ভালোভাবে জানাতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম ওনাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো কথা। মেডিকেল টিমের অন্যতম সদস্য ব্রিগেডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম এবং কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ড. শাহাবুদ্দিন তালুকদারও আজকে পরীক্ষা-নীরিক্ষার যে প্রাথমিক রিপোর্ট, সেটি দেখে এ বিষয়ে একই কথা বলেছেন। তারা চেয়ারপারসনকে বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন বলে ওখানেই এ নিয়ে কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া।
সবশেষ ১১ জুন বিএনপি চেয়ারপারসনের হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি রিং বসানো হয়েছিল। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।