২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকাল সাড়ে দশটার কিছু পর নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এর আগে, তিন বছর পর সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সাথে নিয়ে নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এসময় গ্রেনেড হামলায় আহতদের সাথে কথা বলেন শেখ হাসিনা। এরপর নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের দলীয় সভাপতি। এরপর সেখানে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিবেন তিনি। ১৪ই আগস্ট ২০০৪। ক্ষমতায় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। হাওয়া ভবন তখন ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্রবিন্দু। আলোচিত সেই ভবনেই জঙ্গিদের সঙ্গে পরিচিত হন তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জামাত নেতা যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহম্মদ মুজাহিদ ও সে সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ডিজিএফআই ও এনএসআইর কর্মকর্তারা। হাওয়া ভবনেই চূড়ান্ত হয়, আওয়ামী লীগের সমাবেশে ঠিক সাত দিন পর গ্রেনেড হামলা চালান হবে। ২১শে আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৫টা ২০ মিনিটে সমাবেশ চলাকালে শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম গ্রেনেড ছুড়ে আবু জান্দাল। এরপর একে একে গ্রেনেড ছুড়ে এলাকা ছাড়েন জঙ্গিরা।নারকীয় সেই হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রাণ হারান ২৪ নেতাকর্মী। আহত হন তিন শতাধিক। ঘটনা ধামাচাপা দিতে শুরু হয় জজ মিয়া নাটক।