পররাষ্ট্রমন্ত্র্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান মির্জা ফখরুল।
ভারতের সরকার টিকিয়ে রাখার সুপারিশের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিতে হবে বর্তমান সরকারকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের সরকারকেও। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ দাবি জানান। তিনি বলেন, কেন তিনি এমন সাহায্য চাইলেন ভারত সরকারের কাছে? বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা কখন কি বলেন নিজেরাও জানেন না। প্রশ্ন উঠেছে, দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে কিনা তা নিয়ে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামীলীগ জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক বাদ দিয়ে। মানুষের পেটে হাত দিয়েছে, সব কিছুর দাম বৃদ্ধি করে দিয়ে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির অযুহাত দেখাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বারবার বলার পরও কথা শোনেনি সরকার। যখন দাম বাড়িয়েছে বিশ্ববাজারের কথা বলে, কিন্তু যখন কম ছিলো তখন কমায়নি সরকার, আবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে তাহলে এখন কেন কমাচ্ছেন না?! কারণ তারা লুট করতে বিদেশে টাকা পাচারকারীদের সহায়তা করতে। এলএনজি আমদানির নামে। বড়বড় কথা বলছেন, সন্ত্রাসের মত বক্তব্য ও হুমকি দিচ্ছেন, তাহলে হুমকি যখন দিচ্ছেন, তখন কেনো ভারতের কাছে সরকার টিকিয়ে রাখতে আহ্বান কেনো জানান? এসময় তিনি বলেন, তাদের (আওয়ামীলীগের) বক্তব্য প্রমাণ করে তারা ভারতের আনুকূল্যে টিকে আছে। তিনি আরও বলেন, আমদানীর নামে বিদেশে টাকা পাচার করতেই নিজস্ব সীমানায় কোন জ্বালানি সম্পদ উত্তলনের পদক্ষেপ নিচ্ছেনা সরকার। লুন্ঠনের দায় সরকারের। সরকারকে আর সময় দেয়া হবে না, রাজপথের আন্দোরনের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এদিকে, গার্ডার দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, জবাব দিতে হবে প্রথমে সেতুমন্ত্রীকে, পজেক্ট ডিরেক্টরকে। কিন্তু তাদের কিছুই বলতে পারেনি কেউ। দুর্নীতিবাজ সরকার, চোরের সরকার, ডাকাতের সরকার। এরা অবৈধ, জোর করে ক্ষমতায় আছে। ফখরুল আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, চ্যালেঞ্জ করবেন না, ক্ষমতা ছেড়ে রাস্তায় আসুন, তাললে বোঝা যাবে জনগণ কার পক্ষে আছে।