জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা: বাণিজ্যমন্ত্রী।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চালের দাম প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বাড়তে পারে। কিন্তু কেজিতে দাম বেড়েছে চার টাকা। কেজিতে এত টাকা দাম বাড়ার কোনো যুক্তি আছে? কিন্তু ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ নিচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীরা যখন সুযোগ নেন, একেবারেই নেন। বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। টিসিবি কর্তৃক নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সময় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে। তবে এটা মনে রাখতে হবে, রাতারাতি দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আমি তো জানি না পুতিন সাহেব (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। তবে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, আমরা স্বীকার করছি। প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন। আশা করছি, অক্টোবরের মধ্যে দাম সহনীয় হয়ে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ডিম আমদানির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম কত এবং ডলারের দাম বিশ্লেষণ করে তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণ সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে সম্প্রতি টিআইবি যে গবেষণা করেছে, সেখানে তথ্যের যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। গবেষণায় সঠিক তথ্য উঠে আসেনি। তিনি আরও বলেন, ত্রুটি নেই, সে কথা বলবো না। তবে সেটা ৫ শতাংশের বেশি না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান আরিফুল হাসান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।