শিক্ষিকার মৃত্যু : ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে চালক আটক।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশা থেকে পড়ে স্কুল শিক্ষিকা নিহত হওয়ার ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টায় অভিযোগে মতিন মিয়া (৪৫) নামে এক চালককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তিনি জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বদরগাজী গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে। আর নিহত সুপ্তা দাশ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের পবিত্র দাশের মেয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ র্যাব ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। র্যাব জানায়, বুধবার দিনগত রাতে চুনারুঘাটের বটতলা এলাকা থেকে মতিন মিয়াকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলার আরও তিনজন আসামি পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুপ্তা গত ১১ আগস্ট সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে অটোরিকশায় করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে দেউন্দি সড়কে তিনি অটোরিকশা থেকে পড়ে আহত হন। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট অটোরিকশা চালক মতিন মিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে সুপ্তাকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন তার ভাই পুলক দাশ। শায়েস্তাগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মামলায় আনিত ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পায়নি র্যাব। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের পর মূল ঘটনা জানা যাবে। আলোচিত একটি মামলার আসামি হওয়ায় আমরা মতিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছি।