নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৩ আসামির যাবজ্জীবন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যায় দায়ে ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে দুইজনকে। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ইব্রাহিম ওরফে মনা, জহিরুল ইসলাম ওরফে টিটু ও হৃদয়। আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ফতুল্লার এনায়েতনগরের মধ্য ধর্মগঞ্জ এলাকায় রাজিম উদ্দিনের বাড়ির ২য় তলায় ওই মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০১৬ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইকবাল ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে ধর্ষণের পর হত্যার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর থেকে মামলাটি বিচারিক আদালতে ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রকিব উদ্দিন জানান, মামলাটিতে মোট ১১ জন স্বাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আদালত আজ মামলার রায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে হাবিব ও শাওন নামে দুইজনকে।