অচিরেই এই জালিম সরকারকে বিদায় নিতে হবে : কাইয়ুম চৌধুরী।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সরকার জনগণের রায়কে ভয় পায় বলে বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্ধি রেখে এক দলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বেগম জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেও আজ মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি আজ সু-চিকিৎসা পাচ্ছেন না, বিদেশে গিয়েও তিনি চিকিৎসা নিতে পারছেন না। আওয়ামী লীগ বেগম জিয়া, তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। এজন্য তারা সকাল বিকেল জিয়া পরিবারের নামে কুৎসা রটনায় ব্যস্থ থাকে। অচিরেই এই জালিম সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
মঙ্গলবার বাদ জোহর হযরত শাহজালার (র.) এর দরগাহ প্রাঙ্গনে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশনেত্রীর রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনা, দেশব্যাপী চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরণ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার পুলিশ দিয়ে রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে আন্দোলন দমনের পাঁয়তারা করছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে জানান দিয়ে দিয়েছে যে, তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমন করতে চায়। কিন্তু ভোলার মানু্ষের রক্তের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদী সরকার, আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতিকে মেনে নেবে না। তারা দেশকে মুক্তি করার জন্য, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবার জন্য জীবন দিয়ে হলেও, রক্ত দিয়ে হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। আমরা আবদুর রহিম ও নুরে আলমের রক্তকে বৃথা যেতে দিতে পারি না। তাই এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ স্বৈরাচারী সরকার গৃহবন্দি করে রেখেছে। আমাদের নেত্রীকে বন্দী করে রাখা মানে গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা মানে মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হওয়ার স্বপ্নকে বন্দি করে রাখা। ভোলায় পুলিশের গুলিতে আমার গণতান্ত্রিক ভাইদের রক্ত ঝরেছে। ভোলায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। এটা ছিল একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। বিদ্যুতের দাবিতে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে আজকে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, সিলেটে জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আশিক উদ্দিন আহমদ, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, শামীম আহমদ, ইশতিয়াক সিদ্দিকী, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মাহবুবুল হক চৌধুরী, হাজী মোঃ শাহাব উদ্দিন, আবুল কাশেম, একেএম তারেক কালাম, কামরুল হাসান শাহীন, সুরমান আলী, মাহবুব আলম, কোহিনুর আহমদ, আজিজুর রহমান আজিজ, জসিম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন জায়গীরদার, তাজরুল ইসলাম তাজুল, ফরিদ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আনোয়ার হোসেন মানিক, আখতার হোসেন রাজু, এডভোকেট মহসিন আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, এডভোকেট আল আসলাম মুনিম, আ.ফ.ম কামাল, নিজাম উদ্দিন তরফদার, সাহেদ আহমদ চমন, আজিজুল হোসেন আজিজ, মাসুম রাজ্জাক রুমেল, লোকমান আহমদ, মাহবুব আলম, আহাদ চৌধুরী শামীম, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমি, মাসুকে এলাহী, জালাল খান, হাজী পাবেল, কামরুজ্জামান দিপু, আব্দুল মালেক, লায়েস আহমদ, মনিরুল ইসলাম তোরন, আলাউদ্দিন আলাই, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সামসুর রহমান শামীম, আলতাফ হোসেন সুমন, ফজলে রাব্বী আহসান, তোফায়েল আহমদ, রায়হান এইচ খান প্রমূখ।