বঙ্গবন্ধু হত্যার বড় সুবিধাভোগী জিয়া ও তার পরিবার: তথ্যমন্ত্রী।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার। এটি সত্য, এটিই হচ্ছে বাস্তবতা।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসিডিং যদি কেউ পড়েন, সেখানে সাক্ষীদের ও আসামীদের জবানবন্দি থেকে জানতে পারবেন কে কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল। বিশেষ করে জিয়াউর রহমান কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক জিয়াউর রহমানকে বেছে নিয়েছিলেন প্রধান সেনাপতি করার জন্য। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর হত্যাকারিদের পালানোর সুযোগ করে দেন এবং পরবর্তীতে তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের চাকরি দিয়ে পুণর্বাসন করেন।’ মন্ত্রী রোববার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাদের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার গোলাম রহমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন ও কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দু:খজনক হলেও সত্য যে, বেগম খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুণর্বাসন করেছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীকে তিনি বিরোধীদলীয় নেতার আসনেও বসিয়েছেন। জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব, পরিকল্পনাকারী ছিল, তাদের ব্যাপারে জাতিকে অবহিত করার জন্য জাতীয় প্রেসক্লাব আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছর একটি কমিশন গঠন করার দাবি দেয়। বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকেও এই দাবি উঠেছে, আমাদের দলের পক্ষ থেকেও এই দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এটির সাথে একমত, একাত্মতা পোষণ করি। সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আইনমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে একটি কমিশন গঠন করা হবে।’ হাছান মাহমুদ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার সাথে বিশ্ব প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলেই আমি মনে করি সংবাদ ঠিক হয়, জনগণ ঠিক চিত্রটি পায়। শুধু বাংলাদেশের কথাটা বললাম, পাশের দেশে বা ইউরোপ-আমেরিকায় কি হচ্ছে, সেটি বললাম না, তাহলে তো জনগণ বিভ্রান্ত হবে। এসময় পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি অস্ট্রেলিয়াতে ৯.২%, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৯.৬%, তুরস্কে ৭৯.৬%, যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৫%, যুক্তরাজ্যে ৯.৪%, পাকিস্তানে ২৪.৯%, নেপালে ৮.৫৬%, ভারতে ৬.৭৫% থেকে ৭% এর মধ্যে ওঠানামা করছে। আর আমাদের দেশে মে মাস পর্যন্ত ৭ শতাংশের নিচে ছিলো, পরে একটু বেড়ে ৭.৫% হয়েছে অর্থাৎ অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি কম। তাই বলে আমরা এটিকে স্বস্তিদায়ক বলছি না, আরো কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছি।