Sobujbangla.com | কমানো হবে জ্বালানি তেলের দাম, সেপ্টেম্বরের শেষে থাকবে না লোডশেডিং
News Head
 আবারও সহযোগিতা করল যুক্তরাষ্ট্র, রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার অজিত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আওয়ামী লীগের, সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেপ্তার। পুলিশের ওপেন হাউজডে-মতবিনিময় সভা দোয়ারাবাজারে । সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি ওসি মঈনকে ছেড়ে দেয়ায় সিলেট ক্ষোভ। ৮ দফা দাবিতে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। গ্রেফতার ২ ধর্ষণ স্কুলছাত্রী অভিযোগে কমলগঞ্জে। উনিশ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ, বিধ্বস্ত ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি’। এগারো উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ নিলেন। সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে ৬টি ফ্লাইট।

কমানো হবে জ্বালানি তেলের দাম, সেপ্টেম্বরের শেষে থাকবে না লোডশেডিং

  |  ১৯:৪১, আগস্ট ১৪, ২০২২

দুই এক মাসের মধ্যে তেলের দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রবিবার বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি দর্শন ও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অস্থির বিশ্ব বাজার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। নসরুল হামিদ বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঝুকিতে রাখতে চায় না সরকার। বিশ্বে জ্বালানির দাম কমেছে ৷ সামনে সেটা সমন্বয়ের চিন্তা আছে সরকারের। আগামী দু্ই এক মাসের মধ্যে সমন্বয় করা হবে। সবাই ধৈর্য ধরে সহযোগিতা করলে পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন আগামী মাসের শেষ দিকে লোডশেডিং থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসবো।  প্রতিমন্ত্রী  বলেন, আজকের পরিস্থিতি খুবই অস্বাভাবিক, কোন একটি নির্দিষ্ট দেশে নয়, সারাবিশ্বেই মন্দাভাব তৈরি হয়েছে। অনেকেই বুঝেও ভান ধরে থাকেন। ভর্তুকি দিয়ে সাশ্রয়ী দামে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা জনবান্ধব সরকার, লুটপাট করা বিএনপি জামাত জোট সরকার না। এক দুইটা মাস অপেক্ষা করেন। ইউকের মতো দেশ পাওয়ার কাটের দিকে যাচ্ছে। জার্মানি পুরনো কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করছে। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি, এই অবস্থা সাময়িক। এতোদিন ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে বিপিসি। তেলের দাম কমতে থাকলে কে চায় জনগণের দুর্ভোগ বাড়াতে। কেউ চায় না, চ্যালেঞ্জের সময় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সময় নয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা যেনো ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, তখন গ্যাসের ব্যবহার ছিলই না। সে কারনে বড় বড় কোম্পানি গ্যাস ফিল্ড বিক্রি করে তেলের দিকে গেছে। সেই সময়ে বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন গ্যাসের গুরুত্ব।অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থা ওই ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদেক সাহসী হওয়ার শিক্ষা দেয়। নসরুল হামিদ বলেন, বিএনপি জামাত কোন দর্শনই পালন করেনি। মায়ানমারের পাইপ লাইন আমাদের উপর দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এটি হলে আমরা কমদামে গ্যাস পেতাম। বিএনপি জামাত জোট সেই পাইপ লাইন করেনি। বিএনপির সময়ে ১৬-১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। বিনিয়োগ স্থবির হয়েছিল। খালেদা জিয়া সরকার একটা উপাধি পেয়েছিল দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এক সময় দেশ থেকে গ্যাস রপ্তানির তোড়জোড় চলেছিল। তখন যদি বিক্রি করে দিতাম, আজকে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতো। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ৬১৮ এমএমসিএফডি উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। আমরা ডিপ ড্রিলিংয়ে যাচ্ছি আশাকরছি সেখানেও রিজার্ভ বাড়বে। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদা পূরণ করতে এলএনজির উপর নির্ভরতা থাকবে। পরিমাণ নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর। ভবিষ্যতে আরও অস্বস্তি থেকে বাঁচার জন্য কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, পিএসসি আপডেট করার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছরের শেষের দিকে বিডিং রাউন্ড আহ্বান করা সম্ভব হবে। আমরা জ্বালানির বহুমুখীকরণের দিকে যাচ্ছে। কয়লার দিকে মনযোগ দেওয়ার অবকাশ রয়েছে। ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, জ্বালানির দাম বাড়ানোর এখতিয়ার বিইআরসির। প্রতিমন্ত্রী আজকে দয়া করে গ্যারান্টি দিয়ে যাবেন আজকে। কমিশন গণশুনানির মাধ্যমে এই দাম সমন্বয় করবে। তিনি বলেন, বিপিসি লাইসেন্সি হিসেবে আবেদন করবে। বিপিসির বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে। সেটা পরিষ্কার করা দরকার। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, জ্বালানি যোগান দিতে পারিনি নিজস্ব জ্বালানির প্রতি অবহেলার কারণে। ভুতত্ববিদরা মনে করছেন,  দেশীয় গ্যাস এখনো আছে এটা নিশ্চিত। এটাকে যদি উত্তোলন করা হতো তাহলে আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এখনো দেশের বহু এলাকায় গ্যাসের মজুদ থাকার সম্ভাবনা আছে। এসব জায়গায় এখন উত্তোলন করা জরুরি।  এজন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনীতিবিদ ডক্টর মাহফুজ কবির বলেন, সঙ্কট মোকাবেলায়  সরকার আগাম কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে তেলের মূল্য বৃদ্ধি মূল্যস্ফিতিতে চাপ তৈরি করবে। যেটা অস্বস্তির কারন হবে। এছাড়া কৃষি ও রপ্তানি খাতের পন্য উৎপাদনেও প্রভাব ফেলবে তেলের দাম। তাই সরকারের উচিত হবে সাধারন মানুষকে স্বস্তি দেয়ার উপায় খুঁজে বের করা। এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফইআরবির সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ