কাবুলে নারীদের বিক্ষোভে তালেবানের লাটিপেটা, ফাঁকা গুলি।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নারীদেরে এক বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে তালেবান যোদ্ধারা নারীদের মারধর, লাঠিপেটা ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার প্রথম বর্ষপূর্তির কয়েক দিনআগে শনিবার (১৩ আগস্ট) নারীদের বিরল এক বিক্ষোভে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে এই বিক্ষোভে প্রায় ৪০ নারী অংশ নেন। তাদেরকে ‘রুটি, রুজি ও স্বাধীনতা’ স্লোগান দিতে শোনা যায়। এরপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এ সময় কয়েকজন নারী দৌড়ে পার্শ্ববর্তী দোকানে আশ্রয় নিলে তাদের ধাওয়া করে বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তালেবান যোদ্ধারা। বিক্ষোভকারীদের বহন করা ব্যানারে লেখা ছিল ‘১৫ আগস্ট কালো দিন।’ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা কাজ করার ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণের অধিকারের দাবি জানান। তারা ‘ন্যায়বিচার চাই, অবহেলায় আমরা ক্ষুব্ধ’প্রভৃতি স্লোগান দেন। কয়েক মাসের মধ্যে নারীদের প্রথম কোনো বিক্ষোভ ছিলএটি। এই কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরওমারধর করে তালেবান যোদ্ধারা। ক্ষমতা দখলের পর কঠোর ইসলামিক বিধিবিধানের শিথিল ধারা মেনে চলার অঙ্গীকার করেছিল তালেবান। কিন্তু প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আগের আমলের অনেক বিধিনিষেধ আবার আরোপ করেছে তালেবান। হাজারো কিশোরীর মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান সরকার। অনেক সরকারি চাকরিতে নারীদের ফিরতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ সফরে নারীদের একা ভ্রমণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা কেবল পুরুষদের থেকে পৃথক দিনে রাজধানীর বাগান ও পার্কগুলোতে বেড়াতে যেতে পারেন। মে মাসে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা ও তালেবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা জনসমাগমস্থলে নারীদের বোরকা পরিধান করে চলাফেরা করার নির্দেশ দেন। শুরুতে কিছু আফগান নারী এসব বিধিনিষেধের বিরোধিতা করেন এবং ছোটখাটো বিক্ষোভের আয়োজন করেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাদের নেত্রীদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তালেবান। তবে তাদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।