দেশের সংকট নিরসনে আওয়ামীলীগের পদত্যাগের বিকল্প নেই’।
জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, গণপরিবহণ খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় বর্বোচিত হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা বিএনপি। শুক্রবার বিকেলে সিলেট কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আম্বরখানা পয়েন্টে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- ক্ষুদ্র ঋণ ও কুটিরশিল্প বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানী তেলের দাম যখন কমছে তখন বাংলাদেশের সরকার প্রায় দ্বিগুন পরিমানে জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়েছে। এটি একটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জনগন ফুঁসে উঠেছে। সরকার একদিকে অন্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করছে, অন্যদিকে প্রতিবাদ করলে জনগণের উপর গুলি চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করছে।ইতিমধ্যে দুটি তাজা প্রাণ আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছে।এই অত্যাচার আজ ঘরে ঘরে এই অত্যাচার পৌঁছে গিয়েছে এবং তারা ধীরে ধীরে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে।জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণ ও দেশের অর্থনীতির ওপরে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে, দেশ পড়েছে চরম সংকটে। এই সংকট নিরসনে আওয়ামীলীগের পদত্যাগ করার কোন বিকল্প নেই। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ বার বার তেল, গ্যাস ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করছে। তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার কারনে জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামীলীগকে প্রতিহত করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগের দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। অযোগ্য সরকারের দেশবিরোধী অপরিকল্পিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কারনে দেশ আজ গভীর সংকটে। গত ১৩ বছরে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচারের ফলে দেশ এখন দেউলিয়া হওয়ার পাথে। আওয়ামীলীগ বলছে দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাচ্ছে, বাস্তবে দেশ শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গবেষনা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশ পর্যাপ্ত পরিমানের গ্যাসের মওজুদ আছে। তার পরও গ্যাস ও ডিজেলের সংকট দেখিয়ে দেশের বিদ্যৎ উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেশে দেশকে বাঁচতে হলে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আওয়ামীলীগকে বিদায় না করে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এসময় বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা এডভোকেট আব্দুল গফফার, এডভোকেট আশিক উদ্দিন, মাহবুবর রব চৌধুরী ফয়সল, হাজী শাহাব উদ্দিন, ইসতিয়াক সিদ্দিকী, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মামুনুর রশিদ মামুন, ফখরুল ইসলাম ফারুক, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম, জালাল উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন আহমদ, এসটিএম ফখর উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, নোমান উদ্দিন মুরাদ, মুশফিকুর রহমান মাহি, শফিকুর রহমান, মাহবুব আলম, মাসুক উদ্দিন আহমদ, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, লিলু মিয়া, বশির উদ্দিন, আব্দুল্লাহ মিসবাহ, মুজিবুর রহমান, নজরুল ইসলাম, আব্দুল হাফিজ, জসিম উদ্দিন, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, তসলিম আহমদ নেহার, আজিজুর রহমান আজিজ, সুরমান আলী, সালেহা কবির শেপী, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মকসুদ আহমদ মকসুদ, আজিজুর রহমান আজিজ, আলতাফ হোসেন সুমন, ফাহিমা কুমকুম, দেলওয়ার হোসেন দিনার, ফজলে আহসান রাব্বী, রায়হান এইচ খান, মাহবুব আলম প্রমূখ।