দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই ভয়াবহ : কাইয়ুম চৌধুরী।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামীলীগ বিগত ১৩ বছরে দেশকে লুটেপুটে শেষ করে দিয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঋণগ্রস্ত করে তুলছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যে মূল্যস্ফীতি ঘটছে বা আরও ঘটবে সেটি সহনীয় পর্যায়ে আসছেনা। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই ভয়াবহ। আওয়ামীলীগের লুটপাটের কারনে দেশের মধ্য আয়ের মানুষ নিম্ন আয়ের মানুষে পরিণত হয়েছে। দ্রব্যমূল্য আজ মানুষের নাগালের বাহিরে। মানুষ ঠিকমত খেতে পারছে না। আর সরকারের মন্ত্রীরা আয়েশ করে বলছেন, জিনিষপত্রের দাম বাড়লেও কেউ না খেয়ে মরেনি। তার মানে সরকার মানুষকে না খাইয়ে মারতে চায়। আওয়ামীলীগ মানুষকে বাঁচতে দেবেনা। তাই তাদেরকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে সিলেট জেলা বিএনপির আয়োজনে ও ইউরোপীয়ান বাংলাদেশী ফোরামের সহযোগীতায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউরোপীয়ান বাংলাদেশী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম পংকী সভাপতিত্বে সোহেল ইবনে রাজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল গফফার, দক্ষিন সুরমা উপজেলার সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন সাধারন সম্পাদক কোহিনুর আহমদ সিলেট জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তাজরুল ইসলাম তাজুল, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মকসুদ আহমদ প্রমূখ। প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশে আজ তেল নাই, গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই, রিজার্ভ নাই। চারিদিকে শুধু নাই আর নাই। আওয়ামীলীগ লুটপাট করে সব খেয়ে ফেলেছে। এখন দেশ থলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই এই নাই নাই এর সাথে নতুন আরেক নাই যোগ হবে, আর তা হলো আওয়ামীলীগ নাই। দেশের জনগন এদেরকে ঝুড়ুপেটা করে দেশ ধেতে তাড়িয়ে দেবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহপরান, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, মকসুদ আহমদ, আব্দুল লতিফ খান, মনিরুল ইসলাম তোরন, মাহবুব আলম, আহাদ চৌধুরী শামীম, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, পাবেল রহমান, হারুন আহমদ, সোনাওয়ার আলী সোহেল, খালেকুজজামান কামাল, রাজন আহমদ, আজমল হোসেন অপু প্রমুখ।