নির্বাচনী রূপরেখা ঠিক করে ফের সংলাপে বসবে ইসি (ভিডিও)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঠিক করার পর ফের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে আবারও আমন্ত্রণ জানানো হবে বিএনপিকে। সেই সংলাপে চূড়ান্ত হবে, ইভিএমসহ অন্যান্য বিষয়। আগামী জুনে নির্বাচনী কাজ গুছিয়ে আনতে চায় কমিশন, আর বাস্তবায়ন শুরু হবে জুলাই থেকে। নির্বাচন কমিশনের শেষ সংলাপ হয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাথে। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১১ দিনের সংলাপে অংশ নেয় ২৮টি দল। বিএনপিসহ সংলাপ বর্জন করে ৯টি রাজনৈতিক দল, আর সময় চেয়েছে ২টি দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোনো এজেন্ডা ছাড়াই সংলাপে বসে কমিশন। সংলাপে জাতীয় পার্টিসহ ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমের বিপক্ষে অবস্থান ছিল ১৫টি রাজনৈতিক দলের। আওয়ামী লীগসগহ ১১ দলের অবস্থান ইভিএমের পক্ষে। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয় মতামত দিয়েছে ১৪টি দল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ চারটি দল বিদ্যমান সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেও এর বিপক্ষে ১০টি দল। সংসদ ভেঙে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ৯টি দল। নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও জনপ্রশাসনসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে ন্যস্ত রাখার কথা বলেছে আওয়ামী লীগসহ ১৬টি দল। একাধিক দিনে ভোটের সুপারিশ করেছে জাতীয় পার্টিসহ ৫টি দল। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন, রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসির কর্মকর্তাদের নিয়োগ এবং আইন ও সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব পায় সংলাপে। রোডম্যাপ তৈরির পর রাজনৈতিক দলের সাথে আবারও সংলাপ করবে ইসি; তখনও বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল ইসির কাছে সমান। যখন প্রয়োজন হবে তাদের ডাকা হবে। আবার যেকোনো রাজনৈতিক দল তাদের প্রয়োজনে ইসির সাথে বসতে পারে।
মো. আলমগীর বলেন, “রোডম্যাপগুলো করার পর আসবে বিশেষ আলোচনা। সেই রাউন্ড কিন্তু আমাদের সামনে রয়েছে। সেই রাউন্ডে আসবে- আপনারা (রাজনৈতিক দলগুলো) তো এই সাজেশনগুলো দিয়ে গেছেন, আমরা এখন এটা করতে চাচ্ছি। এখন বলেন আপনারা এটাতে এই চ্যালেঞ্জ আছে, এই সুবিধা আছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কিভাবে মোকাবেলা করব, সে বিষয়ে আপনারা কী সহযোগিতা করবেন, কী পরামর্শ দিবেন ।” নির্বাচনকালীন সরকার রাজনৈতিক বিষয়; ইসির নয়। রোডম্যাপ খসড়া চূড়ান্ত হলে ইভিএমসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসবে ইসি। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, “…লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পথে সুবিধা কী আছে, অসুবিধা কী আছে, সেই অসুবিধাগুলোকে কিভাবে দূর করা যায়, তার জন্য টাকা আছে কিনা, তার জন্য হিউম্যান রিসোর্স আছে কিনা, এম্ফেসাইস করেই তো…যাতে আপনাদের সামনে একটা ক্লিয়ার পিকচার আসে।” শেষ হওয়া সংলাপে তিন ধরনের সুপারিশ এসেছে তার মধ্যে কিছু প্রস্তাবনা ইসির এখতিয়ারভুক্ত নয় বলে জানান তিনি। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচনী কাজ গুছিয়ে আনতে চায় কমিশন। জুলাই থেকে বাস্তবায়নের পথে হাঁটবে ইসি।