ভোলায় বিএনপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, পুলিশ কোন বিশেষ দলের কর্মচারী নয়, পুলিশ রাষ্ট্রের কর্মচারী, জনগনের কর্মচারী। জনগনের টাকায় পুলিশের বেতন দেয়া হয়, বন্দুকের গুলি কেনা হয়। এই গুলি জনগনকে হত্যা করার জন্য নয়, এই গুলি জনগনের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। তার পরও যারা অতি উৎসাহী হয়ে জনগনের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে গুলি করে মানুষ হত্যা করেন তাদেরকে চিহিৃত করা হচ্ছে। প্রতিটিগুলির হিসাব তিলে তিলে দিতে হবে। আওয়ামীলীগের পায়ের নিচে মাটি নেই। এজন্য তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মী সহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। যাদেেেক শহীদ করা হয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যাবেনা। আমরা দেশবাসীকে সাথে নিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করব। রোববার বিকেলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী বেপরোয়া লোডশেডিং এবং জ্বালানী খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ভোলা জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বিনা উষ্কানিতে বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শুধু যে আব্দুর রহিম হত্যা করা হয়েছে তা নয়। আওয়ামীলীগের এই দীর্ঘ দুঃশাসন চলাকালে বিএনপি সহ বিরোধী মতের অসংখ্য নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামীলীগের সময় শেষ হয়ে গেছে, বিষয়টি বুঝতে পেয়ে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনশাআল্লাহ জনবিষ্ফোরনে এই সরকারের পতন হবে। নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রঙ্গনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশ পরিচালনায় ব্যার্থ হয়ে আওয়ামীলীগ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জনগন এখন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও করতে পারেনা। সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেই থেমে থাকেনি, তারা মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়, যারাই সরকারের অপকর্মের সমালোচনা করছেন তাদেরকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বিরোধী মত দমন করতে চায়। প্রশাসনকে ব্যবহার করে, দলীয় গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে আন্দোলন সংগ্রামকে থামিয়ে দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে এই দেশের প্রতিটি জনগন আব্দুর রহমানের মত বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ত ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে। এসময় জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অংঙ্গ ও সহেযাগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।