সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে রাজপথে শিল্পী কলাকুশলী।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে রাজপথে নামলেন টেলিভিশন শিল্পী কলাকুশলীরা। বলেন, এই দেশ সবার, এখানে উগ্রবাদের কোনো জায়গা নেই। আত্মসমালোচনা করে অনেকে বলেন, শিল্পীরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে হয়তো ঘটত না এমন সহিংসতা। শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে সবাই হাজির রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে। যেখানে একাত্ম হয়েছিলেন শিল্পী সমাজ, নেমেছিলেন রাজপথে। মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে তাদের প্রতিটি উচ্চারণ ছিল, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিটি মানুষ। স্লোগান ছিল, ‘আর নয় বিভেদের অংক, বরং ঐতিহ্য ও কৃষ্টির এই দেশে, থাকি সবাই মিলেমিশে।’ এ সময় অভিনয়শিল্পী প্রাণ রায় বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে শিল্পীরা সবসময় জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করে আসছে, মুক্তিযুদ্ধেও শিল্পীদের বিশেষ ভূমিকা ছিল তাই বর্তমান এ যুদ্ধেও শিল্পীদের অংশগ্রহণ জরুরি। সম্প্রীতির সৌহার্দ্যে সম্প্রতি যে আঘাত, যেকোনো ঘাত-প্রতিঘাতই তা প্রতিহত করার প্রত্যয় ছিল শিল্পীদের কণ্ঠে। বলেন, এই দেশ সবার, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই। অভিনয়শিল্পী ইরেশ যাকের বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি যেভাবে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছে ঠিক সেভাবে শিল্পীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ধীরে ধীরে কাজ করতে হবে। আর নাট্যব্যক্তিত্ব তারেক আনাম খান বলেন, দেশে একটা উন্নত সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করতে না পারলে আমরা কেউ নিরাপদ থাকতে পারব না। ক্ষোভের এমন বিক্ষোভে আবেগ-আপ্লুত ছিলেন কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় প্রাণ হারানো দিলীপ দাসের সন্তান অভিনয়শিল্পী অধরা প্রিয়া। যার অধর জুড়ে ছিল বাবা হারানোর বেদনা। অনেক হয়েছে আর নয়, চাই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সুষ্ঠ বিচার। এমন দাবিতেই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি সমাবেশে আসা সবাই জোর দেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও একাত্তরের চেতনা বাস্তবায়নের।