পর্যটকদের জন্য চালু হচ্ছে ‘হোম স্টে’ সার্ভিস।
গত এক দশকে সিলেটে পর্যটন খাতের অভাবনীয় প্রসার ঘটলেও পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশে ছিল না থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। পর্যটকরা ঘুরতে আসলেও রাতযাপন কিংবা নিরাপদ খাবারের জন্য শেষ বিকেলে ছুটতে হতো শহরে। এ নিয়ে পর্যটকদের কিছুটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছিল সবসময়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার সিলেটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য চালু হচ্ছে ‘হোম স্টে’ সার্ভিস। এটি চালু হলে সিলেটে ঘুরতে আসা পর্যটকরা হোটেল, মোটেল কিংবা রিসোর্টের পরিবর্তে পারিবারিক পরিবেশে দিন-রাত যাপনের সুযোগ পাবেন। এতে পর্যটকরা যেমন সুবিধা পাবেন তেমনি উপজেলা বিভিন্ন পর্যটক সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারাও সুবিধা পাবেন। উপার্জন করতে পারবেন অর্থও। এমনটাই জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক বলেন- ‘হোম স্টে’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। এজন্য সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে সম্ভাব্যতা যাছাই করা হয়েছে। চাইলে সিলেটের যে কোন উপজেলায় এটি চালু করা যাবে। তিনি বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে সিলেটের পর্যটন এলাকায় ‘হোম স্টে’ করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা এটি নিয়ে কাজও শুরু করেছি। এটি বাস্তবায়ন হলে স্থানীয়রা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তেমনি লাভবান হবেন পর্যটকরাও।’ এর আগে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সারাদেশে ‘হোম স্টে’ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিজম বোর্ড। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৩১ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে ‘লিটল ট্রি’ নামের একটি ‘হোম স্টে’ সার্ভিস প্রস্তুত করা। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এটি চালু করার লক্ষে কাজ শুরু করেছে ট্যুরিজম বোর্ড। সিলেটেও এটি চালু করার ব্যাপারে নানা সময় আলোচনা হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনও করেছেন ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তারা। এরপরই জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটির সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করা হয়।