স্পিন উইকেট হওয়ায় পেস বোলাররা সুবিধা পাচ্ছে।
৯ রানে যখন নিউজিল্যান্ডের ৪ উইকেটের পতন তখন দলের হাল ধরেন টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকলস। দুইজনে ৪১ বল খেলে ৩৪ রান তুলে নেন। থিতু হয়ে যখন বড় সংগ্রহ করার প্রচেষ্টায় ছিলেন তখনই ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। প্রথমে ল্যাথাম পরে বিদায় করেন হেনরিকে। দুই ওভারে মাত্র সাত খরচ করেন তুলে নেন দুটি উইকেট। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এমন সাফল্যের পেছনের কথা বলেছেন বাংলাদেশের এই পেস অলরাউন্ডার।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) মিরপুর হোম অব ক্রিকেট দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল-দুটি।
তার আগে বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘মিরপুর আমাদের চেনা কন্ডিশন। আমার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচই আমি এখানে খেলেছি। স্পিন উইকেট হওয়াতে আমাদের পেস বোলারদের জন্য সুবিধা হচ্ছে, কারণ কাটার ধরছিল। স্পিনের বিপক্ষে রান না পাওয়ায় ওরা আমাদের (পেসার) বিপক্ষে সুযোগ নিতে চেয়েছিল। এই কারণে আমরা উইকেট নিতে পেরেছি। এজন্য আমাদের উইকেট বের করার ভালো একটা সুযোগ।
সাইফউদ্দিনের মতো দুটি করে উইকেট তুলেছেন সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ। মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি ও মেহেদী হাসান একটি উইকেট আদায় করেন। এই জয়ের পেছনে পুরো বোলিং বিভাগের সাফল্যকে দেখছেন।
আমাদের যারা পেস ইউনিটে আছি বা স্পিন বোলার যারা আছে, তারা সবাই ভালো করছে। আর মিরপুরে তো আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকে।
জিম্বাবুয়ে সফরের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দাপুটে পায় বাংলাদেশ। সিরিজে আরও বাকি চারটি ম্যাচ। প্রতিটি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করা সম্ভব বলে মনে করেন ২৪ বছর বয়সী এই তারকা।
টি-টোয়েন্টি এমন একটা ফরম্যাট, যে এখানে ফেভারিট বলাটা কঠিন। ব্যাটিং উইকেটে খেলা হলে যেদিন যাদের ব্যাটে ভালো টাচ থাকবে সেই জিতবে। এজন্য আত্মবিশ্বাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মাশাআল্লাহ শেষ কয়েকটা ম্যাচে টানা জয়ের ধারায় আছি। তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি ম্যাচগুলোতেও যদি জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারি তো বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই ম্যাচ থেকে শুরু করে সব ম্যাচে ভালো কাজে দিবে।