ছবি তোলা নিয়ে ছাত্রলীগ-চা শ্রমিক মারামারি, রিসোর্ট ভাঙচুর।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি চা বাগানে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (উত্তর) নেতাকর্মীদের সঙ্গে চা শ্রমিকদের মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং বিক্ষুদ্ধ চা শ্রমিকরা স্থানীয় একটি রিসোর্ট ভাঙচুর করেছে। জানা যায়, গতকাল বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে যান ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেন ও ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা সেখানে জেরিন চা বাগান লাগোয়া একটি রিসোর্টে উঠেন। আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা জেরিন চা বাগানে ছবি তুলতে গেলে চা শ্রমিকরা তাদেরকে ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এ সময় বাগানের উপ-ব্যবস্থাপক এসে তিনিও ছবি তুলতে নিষেধ করলে ব্যবস্থাপককে মারধর করেন ছাত্রলীগ নেতারা। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে এবং তাদের অবস্থানরত রির্সোটে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। গ্র্যান্ড মুবিন রিসোর্টের মালিক আব্দুল মুবিন বলেন রিসোর্টের চারটি রুমের আসবাবপত্র, জানালা-দরজা ভেঙেছে শ্রমিকরা। এছাড়া সিসি টিভি, টেলিভিশন, পানির পাইপ, ফুলের টব, চেয়ার ভেঙে অন্তত লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে। জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা জানান, বলেন, চা বাগানে নারী শ্রমিকরা চা পাতা তোলার কাজ করছিলেন। নারী শ্রমিকরা কম কাপড় পরে কাজ করেন। এ সময় তারা চা বাগানে ঢুকে নারী শ্রমিকদের ছবি তুলছিলেন। ছবি তুলতে নিষেধ করায় তারা ডেপুটি ম্যানেজারকে গালমন্দ করেন। এবং একপর্যায়ে তারা আমাদের ডেপুটি ম্যানেজারের গায়ে হাত তোলেন। তাকে টেনে রিসোর্টে নিয়ে যেতে চাইলে চা শ্রমিকরা বাধা দেন। পরে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে রিসোর্টে গেলে, আমরা গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করে বাগানে ফিরিয়ে আনি। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, চা বাগানে ছবি তোলা নিয়ে চা শ্রমিকদের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে পরে স্থানীয়রা এসে সমাধান করে দিয়েছেন। তবে নেতাদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেন তিনি। সেখানকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান , একটু ভুল বোঝাবুঝির জেরে চা শ্রমিক ও ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী রিসোর্টটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে বাগান কর্তৃপক্ষ বা ছাত্রলীগ নেতা কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।