পরীমনির পাশে দাঁড়িয়েছেন শাকিব খান।
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি গ্রেফতার ইস্যুতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলেছেন ঢালিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। শিল্পী সমিতির কর্মকাণ্ডকে রহস্যজনকও বলছেন তিনি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি পরীমনির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্তকে ন্যক্কারজনক বলেও অভিহিত করেছেন শাকিব। শনিবার শাকিব খান তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে লিখেছেন- দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে, কয়েক দিন ধরে খেয়াল করছি, শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনি গ্রেফতারের পর তার প্রতি কোনো ধরনের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, দুঃসময়ে শিল্পীর পাশে না থেকে উল্টো তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। মুহূর্তেই পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে! এ যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে! সমিতির এই আচরণ সত্যিই খুব রহস্যজনক। বিষয়টি নিয়ে বিবেকবান অনেক সিনিয়র জুনিয়র শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীর আক্ষেপ রয়েছে। শিল্পীর সঙ্গে সংগঠনের এটি একটি অমানবিক আচরণ। প্রশ্ন থেকে যায়, এখনকার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তাহলে কাদের স্বার্থে?’ তিনি লিখেছেন, খেয়াল করছিলাম, অপেক্ষাও করছিলাম। প্রত্যাশা ছিল, বিপরীতে বেড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গত কয়েক দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থেকে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে পরীমনিকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সহকর্মী হিসেবে যত দূর জানি, পরীমনি মা–বাবাহীন। তার বেড়ে ওঠা পারিবারিকভাবে আর পাঁচটা তরুণ-তরুণীর বেড়ে ওঠা, স্ট্রাগলে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। হয়তো সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে পরীমনি অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। শাকিব খান আরো লিখেছেন, বিগত দিনেও একাধিক সিনিয়র শিল্পী এর চেয়েও ভয়ংকর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু তখনকার শিল্পী সমিতি অভিযুক্ত সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করেনি; বরং পাশে ছিল, রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু এখনকার শিল্পী সমিতির এসব আচরণ বিতর্কিত। আবারো বোঝা গেল, এই শিল্পী সমিতি সবাইকে এক করতে পারেনি, বরং বিচ্ছিন্ন করেছে। বিভেদ তৈরি করে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের পরিবেশ নষ্ট করেছে। হয়তো এ জন্য চলচ্চিত্রের আজ এই দুর্দশা। এমনিতেই নানা কারণে সিনেমা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তার মধ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সামনে আরও ঘোর বিপদ।’ তিনি আরো লিখেছেন, যারা পরীমনিকে বিপথে নিয়ে গেছে, তাদেরও খুঁজে বের করা উচিত। পরীমনি ৩০টির বেশি সিনেমার সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। তার হাতে আছে আরো কয়েকটি সিনেমা। কিন্তু যারা বছরের পর বছর একটি সিনেমাতেও কাজ না করে দিনের পর দিন শিল্পী সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে, তাদের আয়ের উৎসও খুঁজে বের করা উচিত।