আবারও জয় নিল ১২১বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে আবারও জয় বাংলাদেশ, মেহেদী, মুস্তাফিজ, সাকিব, শরীফুল বল হাতে উজ্জ্বল সবাই। প্রথম টি-টোয়েন্টির মত দ্বিতীয় ম্যাচেও দাপুটে বোলিং করল টাইগার বোলাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ১২১ রান। জিততে হলে বাংলাদেশের দরকার ১২২ রান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির শুরুতেই চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে মেহেদী হাসান এরপর মুস্তাফিজ ব্রেক থ্রু এন দেন বাংলাদেশকে। ৩১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করেন স্পিনার মেহেদী হাসান। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি অজিদের। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন মেহেদী। এই স্পিনারের বলে নাসুম আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে ১১ রান করে ফিরে গেছেন ক্যারি। মেহেদী হাসানের পর ব্রেক থ্রু এনে দেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। অজি ওপেনার জশ ফিলিপেকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। ১৪ বলে ১০ রান করে ফিরে যান তিনি। লেগস্টাম্পের বাইরে কাটার ছিল মুস্তাফিজুর রহমানের, বলের লাইন না বুঝেই ব্যাট চালিয়েছিলেন ফিলিপে। তাতেই বিদায় ঘণ্টা বাজে তার। তবে মিচেল মার্শ ও মোয়েজেস হেনরিকেস জুটি গড়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দু’জন মিলে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন। তবে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। তার ঘুর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ফিরে গেছেন হেনরিকেস। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ২৫ বলে ৩০ রান। অন্যদের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন মিচেল মার্শ। তবে তাকে ফিরিয়ে স্বস্তি এন দেন শরীফুল। অসময়ে মার্শকে হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। ৪২ বলে ৪৫ রান করে ফিরে যান তিনি। অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। মুস্তাফিজকে সামলাতেই যেন হিমশিম অবস্থা। কাটার মাস্টারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। ৭ বলে ৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। এর পরের বলে আবারও আঘাত হানেন এই পেসার। এবার তার শিকার অ্যাশটন অ্যাগার। ধরা পড়েন মুস্তাফিজের বাড়তি বাউন্সে। অ্যাগারের গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপার নুরুলের ক্যাচ পরিণত তিনি। শেষদিকে মিচেল স্টার্ক অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ১৩ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া শরীফুল নিয়েছেন ২টি উইকেট। এছাড়া সাকিব ও মেহেদী নেন ১টি করে উইকেট।