সুনামগঞ্জে দুইদিন পর দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার।
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে যাদুকাটা নদীতে পাহাড়ী ঢলের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ দুইদিন পর উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজন। তারা হচ্ছে, মেরাজুল ইসলাম (১০) ও খাইরুল ইসলাম (৭)। দুই সহোদর বাদাঘাট ইউনিয়নের মিয়ারচড় গ্রামের মোস্তু মিয়ার ছেলে ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণকুল গ্রামের সামনে যাদুকাটা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুদের চাচাতো ভাই লুৎফুর রহমান নাঈম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণকুল গ্রাম থেকে জানানো হয় গ্রামের সামনে যাদুকাটা নদীত একটি শিশুর লাশ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে বড় ছেলের লাশ শনাক্ত করে মিয়ারচড় খেয়াঘাটে নিয়ে আসেন । বড় জনের লাশ নিয়ে আসার একটু পরে আবারো সংবাদ আসে আরো একটি শিশুর লাশ একই স্হানে দেখা গেছে। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে ছোট ছেলের লাশ শনাক্ত করে মিয়ারচড় খেয়াঘাটে নিয়ে আসেন। দুই সহোদরের লাশ উদ্ধারের পর পরিবার সহ এলাকায় শোকের মাতম দেখা দিয়েছে ।
নিখোঁজ দ্বয়ের পিতা মোস্তু মিয়া বলেন, নদীতে নতুন গোলার পানি এসে ভরে গেছে। বাজারের দোকানে ব্যবস্থ্য থাকায় বড় ছেলেকে বলেছিলাম ছোট ছেলেকে নদীর পাড় থেকে নিয়ে আসতে। তারা ফিরে আসতে দেরী দেখে কিছুক্ষন পর নদীর পাড়ে গিয়ে দেখী তারা আর নাই। মনে হয় আমার দুই ছেলেই পানিত ডুবে গেছে। পরে বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানায় জানালে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে থানা পুলিশের সহযোগিতায় ডুবুরিদল যাদুকাটা নদীর মিয়ারচড়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে দুই সহোদরের সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ ও ডুবুরিদল।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই সহোদরের মরদেহ যাদুকাটা নদী থেকে ভাসামান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে । দুই সহোদরের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগনের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত,গত মঙ্গলবার বিকালে নিজ বাড়ি থেকে দুই সহোদর মিয়ারচড় বাজারের সংলগ্ন যাদুকাটা নদীতে পাহাড়ি ঢলের নতুন পানি দেখতে যায়। এসময় নদীর পাড়ে রাখা ষ্টিলের নৌকার উপর পানি দেখতে উঠে ছোট ভাই খাইরুল। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বড় ভাই মেরাজুল বাজারে গিয়ে পিতা মোস্তু মিয়াকে জানায় খাইরুল নৌকায় উঠে পানি দেখছে। এসময় বাজারে তিনি ব্যবস্থ্য থাকায় খাইরুলকে নদীর পাড় থেকে বাড়ী নিয়ে আসার জন্য আবার পাঠায়। পরে মেরাজুল তার ছোট ভাই খাইরুলকে আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।