বিপদসীমার উপরে যাদুকাটা নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত।
হাওর প্রধান জেলা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাতে ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে যাদুকাটা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি হতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাতে ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে বাড়তে থাকা পানিতে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক পথে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই সড়কের আনোয়ারপুর বাজার ব্রিজের সম্মুখ সড়কটি পানিতে ডুবে গেছে।
এছাড়া একেই সড়কের পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শক্তিয়ারখলা-দুর্ঘাপুর সড়কটি নিচু থাকায় পানিতে ডুবে গেছে। এই দুটি অংশের লোকজনের যাতায়াতে নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা দুর্ভোগে শিকার হচ্ছেন তাহিরপুরবাসী।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলায় সুরমা নদীর পানি সমতল বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং যাদুকাটা নদীর পানি সমতল বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় লাউড়েরগড় ও সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথাক্রমে ১৮০ মিলিলিটার ও ১১৬ মিলিমিটার।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫৬০ মিলিমিটার। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারী বর্ষণের এ ধারা আগামী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে আগামী দু-একদিনের মধ্যে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তাহিরপুরের ব্যবসায়ী সোহানুর রহমান সোহাগ জানান,পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের দুটি অংশ (আনোয়ারপুর ও দুর্ঘাপুর) তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছি। সড়কের নিচু অংশ উঁচু না করলে বর্ষায় সবাইকেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
আনোয়ারপুর বাজারের ব্যবসায়ী সইফুল মিয়া জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়া যাদুকাটা নদী হয়ে রক্তি নদী দিয়ে পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বাজারে সম্মুখের ব্রিজ পাড় হয়ে জেলা সদরে যাওয়ার সড়কটি নিচু থাকায় পাহাড়ি ঢলে পানিতে ডুবে আছে। সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা সদরগামী মানুষ নৌকা নিয়ে পাড় হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, টানা বৃষ্টিপাতে উপজেলার নদ নদী ও নিন্মাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।