সিলেট-৩ আসন; ৭ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ নির্বাচনী প্রচারণা।
সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বচনের প্রতীক বরাদ্ধ হয়ে গেছে। প্রচার প্রচারনাও শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। তবে এতে বিপত্তি হয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার।
এই সময়ে নানা বিধিনিষেধের পাশাপাশি সিলেট-৩ আসনে নির্বাচনের প্রচারণাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এই সময়ে প্রচার প্রচারণাও বন্ধ রাখতে হবে প্রার্থীদের। এমনটি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ক একটি পরিপত্র সোমবার সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহা. ইসরাইল হোসেন।
তিনি বলেন, সংশোধিত একটি পরিপত্র আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। সেই পরিপত্র অনুযায়ী আগামী ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে গণজমায়েত করে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালানো যাবে না।
তিনি জানান, ৮ তারিখ থেকে করা যাবে কি যাবে না- সেটি কমিশন পরবর্তীতে আমাদেরকে জানাবে।
ইসরাইল হোসেন বলেন, কঠোর লকডাউনকালীন নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রার্থী বা তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে এই ৭ দিন আমাদেরকে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে। তবে ৮ জুলাইন থেকে আলাদা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় সংক্রমিত অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এরপর ১৫ মার্চ এটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
আগামী ২৮ জুলাই মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।
সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া।
গত শুক্রবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক বিএনপি নেতা শফি আহমদ চৌধুরী মোটরগাড়ি (কার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীক পেয়েছেন। এর মধ্যে শফি আহমদ চৌধুরী ছাড়া বাকি ৩ জন পেয়েছেন দলীয় প্রতীক।