কঠোর লকডাউনে পোশাক কারখানা খোলার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সাত দিনের কঠোর লকাডউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে যেসব কারখানায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে না, সেসব কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে দেশের তৈরি পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিত (বিজিএমইএ)।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পোশাক কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করে সবাই কারখানা খোলা রাখবেন। এটা আমার বিশেষ অনুরোধ।
বিশেষ বার্তায় বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক বলেন, লকডাউন চলাকালে কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সর্বাত্মক লকডাউনেও শিল্প খাতগুলো খোলা থাকবে এবং শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক, পোর্ট, কাস্টমস কার্যক্রম লকডাউনের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকার এবং বিজিএমইএ থেকে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করে সবাই যেন কলকারখানা চালান, এই অনুরোধ করেন বিজিএমইএর সভাপতি। একইসঙ্গে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সব কারখানা মনিটর করা হবে। যারা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানবে না, তাদের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।
গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় পোশাকশিল্পের মালিকদের শীর্ষ দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।