আমাদের প্রত্যাশা ভারত আতঙ্ক সৃষ্টির মতো কিছু করবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে নিবিড় থেকে নিবিড়তর হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, ভারত আতঙ্ক সৃষ্টির মতো কিছু করবে না।
শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ‘নিবিড় সম্পর্ক’ বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে নিবিড় থেকে নিবিড়তর হচ্ছে। সেই সঙ্গে এদেশের জনগণের প্রত্যাশা যে, ভারত এমন কিছু করবে না, যাতে দু’দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সৈন্যদের সম্মাননা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩শ’ ৮০ জন ভারতীয় সৈন্যকে সম্মাননা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পর্যায়ক্রমে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে সেদেশের সকল শহীদদের সম্মাননা দেওয়া হবে। এটি শিগগিরই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক অটুট রয়েছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। চক্রান্তকারীরা এ সম্পর্ক বিনষ্ট করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। যুদ্ধের জন্য আমাদের সংগ্রামী জনতাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এ যুদ্ধে ভারত অংশ নিয়েছিল। যুদ্ধে ভারতের প্রায় ১৭ হাজার সৈন্য শহীদ হয়েছিল, অনেকে আহত হয়, এটি ভোলার নয়। বাংলাদেশ ও ভারতের সৈন্যদের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়।
নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ও বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতা জুলিয়াস ফ্রান্সিস, এরোমা দত্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী বলেন, ‘একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। সোনালি অধ্যায়ের মধ্যদিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে। দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।