ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আজ। রাসুল (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। এশিয়ার সবচেয়ে বড় জশনে জুলুছ হয় চট্টগ্রাম শহরে। যোগ দেন, লাখো মানুষ। এছাড়া রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। রাজশাহীতে সকালে বের হয়, জশনে জুলুছে। মহানবীর শান্তির বাণি ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান অংশগ্রহণকারীরা।
আঁধারে ঢাকা সমাজে, আলোকবর্তিকা হাতে পৃথিবীতে আসেন, মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সা.)। বিশ্ববাসীকে দেখান, সরলপথ। নির্যাতিত-নিপীড়িতরা পান, নতুন দিশা।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীতে, রাজধানীর শাজাহানপুরে দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় জশনে জুলুছ। এতে যোগ দেন হাজারো মানুষ। বর্ণিল এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল নানান প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন। যাতে লেখা ছিল ইসলামের নানান বাণি।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আজকের দিনে আমরা সমস্ত মানব জাতির জন্য দোয়া করবো। আমরা দেশের জন্য দোয়া করবো, আল্লাহ যেন এই দেশকে রক্ষা করে। সেই সাথে পুরো বিশ্বের মুসলমানের জন্য দোয়া চাচ্ছি। প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং অন্যান্য বিপদ থেকে আল্লাহ যেন সকলকে রক্ষা করেন।
শোভযাত্রার আগে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দোয়া করা হয়।
মাইজভান্ডারের দরবার শরীফের গদিনশীন পীর সৈয়দ মুজিবুল বশর আল হাছানী বলেন, মানুষ যখন পাপের মধ্যে নিমর্জিত ছিল আল্লাহর নাম নেওয়ার একজন ব্যক্তিও যখন ছিল না তখনি আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত বলেন, বিদায় হজ্জের ভাষণে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছিলেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। এইযে এত বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে দুনিয়ের অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ধর্মকে প্রচার করার জন্য যখনই হযরত মুহাম্মদ (সা.) বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছেন, যখন আক্রান্ত হয়েছেন তখনই তিনি তা প্রতিহত করেছেন।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় জশনে জুলুশ হয় বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। সকাল ১০টায় নগরীর ষোল শহরের জামেয়া আহমদিয়া প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। যোগ দেন লাখো মুসল্লি।
মুসল্লিরা বলেন, সকল ঈদের সেরা ঈদে মিলাদুন্নবী। আমাদের নবী যদি না আসতো তাহলে চন্দ্র, সূর্য, পৃথিবী্র কিছুই সৃষ্টি হত না।
রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকায় সকালে শুরু হয় শোভাযাত্রা। যা রেলগেট এলাকা ঘুরে নিউমার্কেট সাহেব বাজারে গিয়ে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয় শহরের নিউমার্কেট এলাকাতেও।
অংশগ্রহণকারীরা জানালেন, বিশ্বজুড়ে অশান্তি আর সহিংসতার ঠেকাতে ধারণ করতে হবে, রাসুল (সা.) শান্তিরপথ।