‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে মুখোমুখি চট্টগ্রাম আবাহনী-কেরালা
চট্টগ্রামের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ঘুরেফিরে একটাই আলোচনা- চট্টগ্রাম আবাহনী শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে উঠতে পারবে তো? এই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জামাল ভূঁইয়ারা মুখোমুখি হবেন ভারতের ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা এফসি’র বিপক্ষে। দেশের আরেক ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের দুর্ভাগ্যবশত শেষ চারের স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের সব আশা এখন বন্দর নগরের ক্লাবটিকে ঘিরে।
চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ মারুফুল হকও সেমিতে চেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসকে, যাতে বাংলাদেশের যেকোনো এক দল ফাইনাল খেলতে পারে। কোচ মারুফও বলেন, ‘আমার ইমোশনাল জায়গা থেকে যদি বলি, সেমিতে আমি বসুন্ধরা কিংসকে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশের দল ফাইনাল খেলুক অ্যাটলিস্ট।
তবে, সেই ইচ্ছে পূরণ না হলেও ফাইনালে যাওয়ার জন্য মরিয়া চট্টগ্রাম আবাহনী। শিরোপা পুনরুদ্ধারে নামা দলটির কোচ বলেন, ‘যদিও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এক প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলাম, এই টুর্নামেন্টের ফার্স্ট এডিশনে চট্টগ্রাম আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তবেম গত আসরে পারেনি। কিন্তু, এবার আমরা শিরোপা পুনরুদ্ধারে নেমেছি। সেক্ষেত্রে আমাদের টার্গেট ছিল সেমিফাইনাল। ইনশাল্লাহ, আমরা সেমিতে উঠতে পেরেছি। আমাদের কিছু ম্যাচ উইনার খেলোয়াড় আছে। আশা করি, আমরা ফাইনালে খেলতে পারবো।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের বিপক্ষে হেরে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে, হারলেও ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে শেষ চারের টিকেট কাটে তারা। সেই ম্যাচে ঘরের দলকে সমর্থন জানাতে টুর্নামেন্টের একমাত্র ভেন্যু চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ভরে গিয়েছিল দর্শকে। এবার সেমিফাইনালেও তেমন দর্শকের ভিড়ের সম্ভাবনা বেশি।
দলকে সমর্থন জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। কোচ মারুফের মতো দলকে ফাইনালে দেখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়কও। তিনি বলে, ‘আগামীকাল আমাদের বড় ম্যাচ। খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমাদের একটাই লক্ষ্য, তা হলো চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আগামীকাল আমাদের ডু অর ডাই ম্যাচ। আমরা শতভাগ দিয়েই খেলবো জয়ের জন্য।’
অন্যদিকে ফাইনালে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ গোকুলাম কেরালাও। সংবাদ সম্মেলনে এসে তেমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাদের প্রধান কোচ ফার্নান্দো সান্তিয়াগো। বললেন, ‘সেমিতে উঠতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আগামীকালের ম্যাচটি খুব প্রতিযোগিতমূলক হবে। আশা করি, ছেলেরা ফাইনালে ওঠার জন্য লড়ে যাবে।