Sobujbangla.com | যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জাপানের নারী ফুটবল
News Head
 আবারও সহযোগিতা করল যুক্তরাষ্ট্র, রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার অজিত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আওয়ামী লীগের, সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেপ্তার। পুলিশের ওপেন হাউজডে-মতবিনিময় সভা দোয়ারাবাজারে । সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি ওসি মঈনকে ছেড়ে দেয়ায় সিলেট ক্ষোভ। ৮ দফা দাবিতে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। গ্রেফতার ২ ধর্ষণ স্কুলছাত্রী অভিযোগে কমলগঞ্জে। উনিশ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ, বিধ্বস্ত ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি’। এগারো উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ নিলেন। সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে ৬টি ফ্লাইট।

যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জাপানের নারী ফুটবল

  |  ১৯:২১, অক্টোবর ০৮, ২০১৯

নিয়মিত ঘরোয়া লিগ ও প্রতিটি রাজ্যে একাডেমি থাকার কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে জাপানের নারী ফুটবল। আধুনিক সুযোগ সুবিধা ও আর্থিক নিশ্চয়তার কারণে পারিবারও আগ্রহী হচ্ছে মেয়েদের ফুটবলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও থাকে খেলাধুলার জন্য আলাদা নম্বর। এমনটিই জানিয়েছেন এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জাপান কোচ মিকি হাসো কানো। সাফল্য পেতে চাইলে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোরও উচিত এই কাঠামো অনুসরণ করা। থাইল্যান্ড থেকে ফিরে বিস্তারিত জানাচ্ছেন পারভীন আখতার।
নারীদের ফুটবলে জাপানের পথচলা শুরু আশির দশকে। প্রথম আন্তজার্তিক ম্যাচ ১৯৮১ সালে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছিলো সূর্যদয়ের দেশটি। কিন্তু এরপরই নিজেদের ফুটবল কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনে জাপান। অল্প সময়েই এশিয়ায় অন্যতম সেরা পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের জানান দেয় নাদিশিকো জাপান।
২০১১ সালে নারীদের বিশ্বকাপের ফাইনালে যুক্তরাস্্রটকে হারিয়ে প্রথমবারের মত ঘরে তোলে বিশ্বকাপের শিরোপা । বয়স ভিত্তিক দলগুলোও সাফল্য পাচ্ছে আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে। ২০১২ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক, ২০১৫ তে ফিফা বিশ্বকাপে রানার্সআপ জাপান। গেল ২৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডে শেষ হওয়া এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও শিরোপা জয় করে মিকি হাসের শীষ্যরা।
জাপানের নারী ফুটবলের এই সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে কি রহস্য?
মিকি হাসে বলেন, “আমাদের প্রতিটি রাজ্যে আছে আলাদা আলাদা ফুটবল একাডেমি। ছেলে ও মেয়েদের আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। খেলাধুলায় যারা ভাল করে তাদের জন্য থাকে ভাল চাকরির সুযোগ। আর্থিক নিশ্চয়তা থাকায় পরিবারও মেয়েদের খেলাধুলায় ভবিষ্যত গড়ার দিকে মনযোগ দেয়। নিয়মিত বয়সভিত্তিক লিগ হওয়ায়, ফুটবলার খুজে পেতেও কষ্ট হয়না ফেডারেশনের।
এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি ম্যাচেই আলাদাভাবে উন্নতির ছাপ রেখেছে জাপানের মেয়েরা। মূলত নিয়মিত অনুশীলন ও ফেডারেশনের কাছ থেকে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ সুবিধাই এ সাফল্যের কারণ বলে জানান ফুটবলাররা।
মিডফিল্ডার রিরিকা তানো বলেন “আমাদের ফেডারেশন আমাদের জন্য সব ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের খাদ্যাভাস সহ সব কিছুর দিকেই গুরুত্ব দেয় ফেডারেশন। আমার স্বপ্ন বিশ্বকাপে খেলার । আগামী বছর ভারতে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপেও এমনভাবে আলো ছড়াতে চাই আমি।
এশিয়ার অন্য দেশগুলোও জাপানের ফুটবল কাঠামোকে অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করেন এই ফুটবলার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ