অজিদের হারিয়ে আরাধ্য ফাইনালে ইংল্যান্ড
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়, চাই ২২৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। দুই ওপেনারের ব্যাট হাতের দৃঢ়তায় তাদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হেসে খেলে আট উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে উঠে গেছে ইংলিশরা।
এ নিয়ে বিশ্বকাপে চতুর্থবার ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালে ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল ইংলিশদের। দীর্ঘ ২৭ বছর পর আবার ফাইনালে উঠে কেমন করবে তারা সেটাই এখন দেখার।
আগামী ১৪ জুলাই লর্ডসে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। গতকাল বুধবার ভারতকে হারিয়ে কিউইরা টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে। তাই এবারের বিশ্বকাপে যে নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আজ বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ওপেনার জেসন রয়। তিনি ৬৫ বলে ৮৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। পরে অধিনায়ক মরগান (৪৫) ও জো রুট (৪৯) হার না মানা দুটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শেষ খুব বড় সংগ্রহ গড়েতে পারেনি। ৪৯ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে তারা।
তাদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দলীয় ১৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের কবলে পড়েছিল তারা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পারেনি।
দলীয় চার রানে অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তাঁকে ফেরান জফরা আর্চার। কিন্তু এই আঘাত সামলাতে না সামলাতেই আবারও ইংল্যান্ডের আঘাত। দলীয় ১০ রানে ক্রিস ওকসের শিকারে পরিণত হন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ভরসা ডেভিড ওয়ার্নার।
এরপর অস্ট্রেলিয়া নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই আবারও ক্রিস ওকসের আঘাত। দলীয় ১৪ রানে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এর পরই স্টিভেন স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারের ব্যাটিংয়ে ভর করে কিছুটা চেষ্টা করেছিল। দুজনে ১০৩ রানের জুটিও গড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় কোনো সংগ্রহ গড়তে পারেনি তারা।
সাবেক অধিনায়ক স্মিথ ৮৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। আর অ্যালেক্স ক্যারে ৪৬ ও স্টার্ক ৪৯ রান করেন।
ওকস ২০ ও আদিল রশিদ ৫৪ রানে তিনটি করে উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ধস নামান। আর আর্চার ৩২ রানে দুই উইকেট পান।