বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে বসুন্ধরা কিংস-আবাহনী
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে বৃহস্পতিবার আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে শিরোপার দৌড়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী। নোয়াখালীতে বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। স্বাগতিকদের হারিয়ে আবাহনীর সঙ্গে ব্যাবধান আরো বাড়ানোর লক্ষ্য ব্রুজন শীষ্যদের। আরেক ম্যাচে, গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে লড়বে ঢাকা আবাহনী। দুটো ম্যাচই শুরু হবে বিকেল চারটায়।
প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমে একরকম উড়ছে বসুন্ধরা কিংস। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলে মাত্র একবার হারের তিক্ততা পেয়েছে অস্কার ব্রুজন শিষ্যরা। শেষ ম্যাচে শিরোপার অন্যতম দাবিদার আবাহনী বৈতরণী পাড়ি দেয়ার পর অনেকটাই এগিয়ে গেছে বসুন্ধরার রাজারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর সঙ্গে ব্যবধান এখন ৭ পয়েন্ট।
তবে, তাই বলে নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমানোর মত সময় নেই ব্রুজনের। ব্যবধানটা আরো বাড়াতে চান বসুন্ধরা কোচ। নোয়াখালীতে নোফেলকে হারানো ছাড়া আর কোন কিছুই ভাবছেন না তিনি।
বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন, আমরা এখন শীর্ষে আছি। তবে, সামনের ম্যাচগুলোতে যে কোন কিছুই হতে পারে। সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। দলের সবাই ফিট থাকায় আশা করছি কোন বিপদ হবে না।”
নোফেল কোচও সমীহ করছেন বসুন্ধরাকে। বিশ্বকাপে খেলা কলিনড্রেসদের মত তারকা আছে প্রতিপক্ষ শিবিরে। তবুও নিজেদের সমর্থকদের সামনে সেরাটা উজাড় করে দেয়ার মন্ত্রই শিষ্যদের জপে দিয়েছেন কামাল বাবু।
নোফেলের কোচ কামাল বাবু বলেন, তারা প্রমাণ করেছে, অনেক ভাল টিম। এখন পর্যন্ত একটা ম্যাচও হারেনি তারা।
গোপালগঞ্জে আরেক ম্যাচে লড়বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ও মুক্তিযোদ্ধা। গেল সপ্তাহে চেন্নাই এফসির সঙ্গে মামুনুল, সাইঘানিদের দুর্দান্ত নৈপুণ্য এখনও চোখে লেগে আছে সমর্থকদের। তবে, লিগে পরের ম্যাচেই বসুন্ধরার কাছে হোঁচট ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে লেমস শিষ্যদের।
মুক্তিযোদ্ধাকে হারাতে পারলে ব্যবধান কমে আসবে অনেকটাই। দলে ইনজুরি আছে তপু বর্মন, বাদশা ও ওয়েলিংটনের। তবে, ম্যাচে এর কোন প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করেন লেমস।
ঢাকা আবাহনীর কোচ লেমস বলেন, “গেল ম্যাচে আমরা হেরেছি। তবে, এখনও আমাদের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। আমারা বাকি ম্যাচগুলোতে সতর্ক হয়ে খেলতে চাই। শিরোপা ধরে রাখতে চাইলে এর কোন বিকল্প নেই। মুক্তিযোদ্ধা স্বাগতিক হিসেবে দর্শকদের সমর্থন পাবে। ওদের বিপক্ষে ম্যাচটা বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে।”
১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে থাকা মুক্তিযোদ্ধারও লক্ষ্য আবাহনীকে হারিয়ে নিজেদের আরো এগিয়ে নিতে।