একনজরে বাংলাদেশ-উইন্ডিজের পরিসংখ্যান
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও উইন্ডিজ। পরিসংখ্যান ক্যারিবীয়রদের পক্ষে থাকলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে এগিয়ে আছে টাইগাররাই। এদিকে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যানেও টাইগারদের পাল্লাটা বেশ ভারী। যেখানে ব্যাটিং-বোলিং এ দুই বিভাগে শীর্ষে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এছাড়া টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সামনে হাতছানি দিচ্ছে এক বিশেষ রেকর্ডের।
একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়-পরাজয় নয়, লড়াই করাটাই ছিলো টাইগারদের বড় প্রাপ্তি। সময়ের ব্যবধানে বদলেছে অনেক কিছুই। বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে যে কোনো দলের বিপক্ষে অপ্রতিরোধ্য লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ -উইন্ডিজ সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে, মাশরাফি বাহিনী যে এগিয়ে তা বলাই যায় অকপটে। চলমান ত্রি-দেশীয় সিরিজে নান্দনিক পারফর্ম উপহার দিয়ে অপরাজিত টাইগার শিবির। যেখানে তামিম-সৌম্য-সাকিব-মু-শফিকের ব্যাট হেসেছে স্বমহিমায়। সেই সাথে মাশরাফি-মোস্তাফিজ ও রাহীর পেস অ্যাটাক ছিল চোখে পড়ার মতো।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সবশেষ দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও দুর্দান্ত জয় পায় টিম বাংলাদেশ। যদিও এ পর্যন্ত দু’দলের ৩৫ বারের দেখায় ২০টি জয় উইন্ডিজের, বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ১৩ ম্যাচে। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
এবার আসা যাক, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে। যেখানে একক আধিপত্য নেই কোন দলেরই। তবে ব্যাটিংয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ২৪ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিসহ ৮৬৭ রান করে তালিকায় সবার ওপরে তামিম ইকবাল। সমান ম্যাচ খেলে ৮৪৩ রান করে পরের জায়গায় মুশফিকুর রহিম। আর ৬৬১ রান করে তিনে আছেন হার্ডহিটার ক্রিস গেইল।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও আধিপত্য রয়েছে টাইগার বোলারদের। ১৭ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মোর্তজা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচের ঝুলিতে সমান ৩০ উইকেট। আর ১৯ উইকেট নিয়ে পরের অবস্থানে টাইগার স্পিনার আবদুর রাজ্জাক।
উইন্ডিজের বিপক্ষে অধিনায়ক মাশরাফির জয়ের পাল্লাটা ভারী বেশী। ৮ ম্যাচে ৬ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ম্যাশ। এই ফরম্যাটে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এক ইনিংসে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৩০১ আর সর্বনিম্ন ৫৮। আর টাইগারদের বিপক্ষে উইন্ডিজের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৩৩৮ আর সর্বনিম্ন ৬১।
তবে ত্রি-দেশীয় সিরিজের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সবার চোখ থাকবে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দিকে। আর মাত্র ১ উইকেট পেলে ক্যারিয়ারে ৫০০০ রানের পাশাপাশি ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাকিব।