বাংলাদেশের মোট রেটিং পয়েন্ট হয়েছে ৯৩
ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজটা অবশ্য জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচ শেষে ট্রফিটা নিয়ে বেশ উল্লাস করল কিউইরা। কিন্তু তাদের সেই উল্লাসের চেয়ে কয়েকগুণ শক্তিশালী ছিল বাংলাদেশের উল্লাস। সেটা নিউজিল্যান্ডের ডাবলিনের ক্লনটার্ফ থেকে ছড়িয়ে পড়ল ৫৬ হাজার বর্গমাইলে। পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালিদের মধ্যে। নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়ের আনন্দের চেয়ে এই আনন্দ অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক। সিরিজ না জিতলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের এই জয়টি অনেক প্রাপ্তির। ঐতিহাসিক জয়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের বাইরে প্রথম জয়। যার উপহার স্বরূপ বাংলাদেশ উঠে যাচ্ছে র্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠস্থানে। হালনাগাদে নতুন এই র্যাঙ্কিং আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হবে বাংলাদেশের নামের পাশে। শ্রীলঙ্কা নেমে যাবে সাতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের জয়ে বাংলাদেশ ২টি রেটিং পয়েন্ট পেয়েছে। তাতে বাংলাদেশের মোট রেটিং পয়েন্ট হয়েছে ৯৩। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার রেটিং পয়েন্টও ৯৩।
কিন্তু ভগ্নাংশের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকায় লঙ্কানদের পেছনে ফেলে ষষ্ঠস্থানে উঠে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটে ইতিহাসের সেরা র্যাঙ্কিং। এর আগে কখনো ষষ্ঠ স্থানে ওঠা হয়নি বাংলাদেশের। আগমী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটে থাকতে পারলে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে টাইগাররা। সেটা এখন বলতে গেলে বাংলাদেশের করায়ত্তেই চলে এসেছে।
মূলত এই উন্নতির যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালের শেষের দিকে। তখন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন মাস চয়েক হবে। সময়টা ভালো যাচ্ছিল না টাইগারদের তখন। সেই ক্রান্তিলগ্নে এসে হাল ধরেন এক পুরনো নাবিক। যার নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় মতো পাল্টে যেতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিত্র। যার শুরুটা ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে।
এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে টাইগাররা। ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। যার উপহার হিসেবে র্যাংকিংয়ে উন্নতি হতে থাকে টাইগারদের। সেই উন্নতির ধারায় ১১ বছর পর আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ পায় টাইগাররা। উন্নতির এই অগ্রযাত্রা চলুক আজ থেকে আগামীতে। বজায় থাকুক এর ধারাবাহিকতা। কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীদের সেটাই চাওয়া।