জয়ে শেষ হলো সিক্সার্সদের বিপিএল
অস্ট্রেলীয় তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারকে দলে নিয়ে চমক দিয়েই বিপিএলের ষষ্ঠ আসর শুরু করেছিল সিলেট সিক্সার্স। এছাড়া দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড় আর তারুণ্য নির্ভর একটা দল নিয়ে ভালো কিছু করার আশাতেই ছিল দলটি।
মাঝে মাঝে জ্বলেও উঠেছিল ওয়ার্নারের নেতৃত্বে। কিন্তু হঠাৎ ইনজুরিতে মাঝপথেই দেশে ফিরে যান এই অস্ট্রেলীয় তারকা।
এরপর অধিনায়কত্বের ভার ওঠে পাকিস্তানি খেলোয়াড় সোহেল তানভীরের কাঁধে। তাতেও ব্যর্থ।
সবশেষ দায়িত্ব দেয়া হয় অলোক কাপালিকে। তার নেতৃত্বে ভালোই খেলেছে দলটি। টুর্নামেন্ট থেকে অনেক আগেই ছিটকে পড়ার শঙ্কা জাগানো দলটা এক পর্যায়ে আশা জাগায় শেষ চারে জায়গা করে নেয়ার।
শেষ পর্যন্ত বাদ পড়তেই হয় শেষ চারের আগে গ্রুপ পর্ব থেকে। ১২ ম্যাচে আছে পাঁচটি জয় আর সাতটি হার।
সবশেষ ম্যাচে আজ সিক্সার্সরা মুখোমুখি হয় চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে। দুইবারের দেখায় দুইবারেই ভাইকিংসকে হারিয়েছে দলটি।
আজ সন্ধ্যায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার খেলেন ৫৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। এরপর সাব্বির রহমানের ৩২ আর মোহাম্মদ নেওয়াজের ৩৪ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে।
ভাইকিংসের হয়ে হার্ডুস ভিলজয়েন বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচেই নেন ৪টি উইকেট। ১টি উইকেট নেন নাঈম হাসান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগং ভাইকিংস। একমাত্র মুশফিক ছাড়া বড় ইনিংস খেলতে পারেনি কেউই। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৮ রান। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন করেন ২৫ ও ইয়াসির আলী করেন ২৭ রান।
বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় গোটা ২০ ওভার শেষ করতে পারেনি চিটাগং ভাইকিংস। ১৮.৩ ওভারে ১৩৬ রান পর্যন্ত তুলতে পারে ভাইকিংস।
২৯ রানের জয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট সিক্সার্স। এবাদত হোসেন নেন ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট। এছাড়া ওয়েন পার্নেলের ২টি ও ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও অলোক কাপালি।