সেনাবাহিনী নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের বিবৃতি উদ্দেশ্যপ্রণেদিত : আওয়ামী লীগ।
আজ থেকে সারা দেশে একযোগে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে নিয়ে গতকাল রোববার বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিবৃতিকে আপত্তিজনক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমাদের দেশপ্রেমিক, পেশাদার ও সুশৃঙ্খল সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটি খুবই আপত্তিজনক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উল্লেখ করে আক্তারুজ্জামান বলেন, তারা কোনো দলের বা কোনো পক্ষের নয়। সুতরাং এ নিয়ে কারো উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, বাংলাদেশে পেশাদার সেনাবাহিনীর একটি সার্বজনীন মর্যাদা রয়েছে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন কারো উচ্ছ্বসিত হওয়ার সুযোগ নেই। এ বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত করতে পারে এমন বক্তব্য থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সেনা মোতায়েন করার ফলে নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক হবে কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আক্তারুজ্জামান বলেন, সেনাবাহিনী আসছে। আমরা আশা করি পরিবেশ নিশ্চয়ই আগের থেকে ভালো হবে, সুন্দর ও সুষ্ঠু হবে। সবার সহযোগিতায় ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধদল নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশের বিভিন্নস্থানে দলের নেতাকর্মী ও নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলার অভিযোগ করেন। প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলের উপদপ্তর সম্পদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মারুফা আক্তার পপি, রিয়াজুল কবীর কাওছার, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, গিয়াস উদ্দিন পলাশ প্রমুখ।
এর আগে আক্তারুজ্জামান দেশের বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকর্মী নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছে দাবি করে এর সঙ্গে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট জড়িত বলে অভিযোগ করেন। এ ছাড়া তিনি সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ বেশ কিছু স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি-জামায়াত হামলা করেছে দাবি করে দ্রুততার সঙ্গে এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।