তামিম-সৌম্যের ব্যাটে সিরিজ জয় বাংলাদেশের।
১৯৯ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। মন্থর উইকেটে সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন তাঁরা। কিন্তু দলীয় ৪৫ রানে লিটন ফিরে গেলে কিছুটা ধাক্কা লাগে বাংলাদেশের ইনিংসে। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় শুধু শুরুর এই ধাক্কা সামলায়নি, শেষ পর্যন্ত বড় জয়ের উল্লাস করে লাল-সবুজের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে আট উকেটের বিশাল ব্যবধানে। তাই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে মাশরাফি-সাকিবরা। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবালের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় তৃতীয় ওয়ানডেতে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে মিলে ১৩১ রানের চমৎকার একটি জুটি গড়ে দলকে একেবারে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে দেন।
সৌম্য ৮০ রান করেন ৮১ বল খরচায়। যাতে পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার রয়েছে। আর তামিম ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ইনিংসটি সাজিয়েছেন নয়টি চারের মার দিয়ে।
এর আগে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে বেশ নাকাল অবস্থায় পড়তে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের, তবে এক পাশ আগলে রেখেছেন শাই হোপ। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের এই নায়ক এদিন খেলেছেন ১০৮ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। তা না হলে এই ১৯৮ রান গড়া অসম্ভবই ছিল সফরকারী দলের পক্ষে।
প্রথমে চন্দ্রপল হেমরাজ মাত্র ৯ রান করে সাজঘরে ফিরেন। আর ড্যারেন ব্রাভো ১০ রান করে আউট হন। এর পর শিমরন হেটমায়ার (০), মারলন স্যামুয়েলস (১৯) ও রভম্যান পাওয়েল (১) দ্রুত সাজঘরে ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে ধস নামে।
এর পর ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (৬) এবং কিমো পল (১২) ও কেমার রোচও (৩) দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা দুটি করে উইকেট নেন। আর সাইফউদ্দিন পান একটি উইকেট।
ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন এসেছে। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসকে বাদ দিয়ে একাদশে নেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনকে। ইমরুল গত দুই ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
পেসার রুবেল হোসেনকেও একাদশের বাইরে রাখা হয়। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে তরুণ অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে। সিরিজে প্রথম খেলতে নামছেন সাইফউদ্দিন। দ্বিতীয় ম্যাচে ডেথ ওভারে রুবেল খুব একটা ভালো বল না করায় বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এ ছাড়া দলে আর কোনো পরিবর্তন হয়নি।