Sobujbangla.com | দরজায় কড়া নাড়ছে ইউপি নির্বাচন, ব্যস্থ সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
News Head

দরজায় কড়া নাড়ছে ইউপি নির্বাচন, ব্যস্থ সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

  |  ২০:০০, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

সিলেটে দরজায় কড়া নাড়ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গ্রামগঞ্জ সরব এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। কেউ কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন; আবার কেউ কেউ মাঠে নেমেছেন অনেক আগেই। ফলে সিলেটের গ্রামীণ জনপদে শুরু হয়েছে ভোটের হাওয়া। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। বিএনপি’র প্রার্থীরাও মাঠে সরব রয়েছেন। প্রতীক না পেলে স্বতন্ত্র হিসেবেই তারা নির্বাচনে নামবেন বলে জানা গেছে। সিলেটের নির্বাচনী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোট ১০৭টির ৮৬টি ইউনিয়নে এবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকিগুলো নিয়ে আইনিসহ নানা জটিলতা রয়েছে। সেগুলো দ্রুত মিটিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেট-৩ উপনির্বাচন নিয়ে প্রায় দুই মাস সরব ছিল সিলেট। নির্বাচন নিয়ে সিলেটের রাজনীতিও সরগরম ছিল। চলতি মাসের শুরুতে এ আসনে নির্বাচন শেষ হয়েছে। এরপর থেকে সিলেটের নির্বাচন অফিস ইউনিয়ন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে, ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিয়ন নির্বাচন হবে- এমন ঘোষণা আগে থেকেই ছিল নির্বাচন কমিশনের। এ কারণে করোনাকালীন সময়ের গত কয়েক মাস ধরে সিলেটের গ্রামে গ্রামে চলছে নির্বাচনী হাওয়া। চলছে উঠোন বৈঠক, প্রচারণা এবং দোয়া পর্ব। সবখানেই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা বেশি। সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মিয়া জানিয়েছেন, সিলেটের ৮৬ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এগুলোর তালিকা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করা হবে। তিনি জানান, তফশিল ঘোষণা হলেই তারা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন। সকল প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। বাকি যেগুলো থাকবে সেগুলো নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে সেটি কাটিয়ে উঠলে পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিলেটে গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীকে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরাও আশানুরূপ সাফল্য পান। ইউনিয়ন নির্বাচন দিয়ে সিলেটে বিএনপি অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিল। তখন অবশ্য আওয়ামী লীগের ভেতরে মাঠ পর্যায়ে বিরোধ, মতভেদ ছিল। আবার মাঠ পর্যায়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরও ছিল ছড়াছড়ি। এতে করে গতবার ইউনিয়ন নির্বাচনে তেমন সাফল্য পায়নি আওয়ামী লীগ। এবারের চিত্র ব্যতীক্রম। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে। বিতর্কিত, সমালোচিতদের বাদ দিয়েই এবার ত্যাগী ও পরীক্ষিত এবং কর্মীবান্ধব নেতাদের মনোনয়ন দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঘরানার একাধিক প্রার্থীই মাঠে সরব রয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজ নিজ দলের ভেতরেই প্রার্থী বাছাইয়ে হিমশিম খেতে পারে। গত সপ্তাহে নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেট-৪ আসনে সফর করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এলাকায় সফরে এসে তিনি নিজেও ইউনিয়ন নির্বাচনের উত্তাপ লক্ষ্য করে গেছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ