Sobujbangla.com | চলছে সিএনজি ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা।
News Head

চলছে সিএনজি ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা।

  |  ১৯:৪৬, ডিসেম্বর ২১, ২০২০

সিএনজি অটোরিকশায় গ্রীল সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা, অটো টেম্পু, টেক্সি, টেক্সিকার মালিক সমিতি। আর এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
সোমবার সকালে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সকল পয়েন্টেই যাত্রীদের জটলা রয়েছে। সিএনজি অটোরিক্সা না থাকায় রিক্সা ও লেগুনা যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া আদায় করছে। তার পরও পরিবহ পাচ্ছেন না যাত্রীরা।
সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন, গ্রীল সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিল একটি মীমাংসিত বিষয়। ঢাকা চট্টগ্রাম ছাড়া অধিকাংশ জেলায় সিএনজিতে গ্রীল নেই। আমরা বিগত দিনে সাবেক আবুল আব্দল মুহিতের সাথে আলাপ করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। সেসময় সিদ্ধান্ত হয় অন্যান্য জেলায় গ্রীল কার্যকর করার পর সিলেটে তা বাস্তাবায়ন করা হবে। এরপর কিছুদিন এ বিষয় নিয়ে কথা বন্ধ ছিলো। বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সাহেবের সাথেও আমরা বৈঠক করেছি, তিনিও আমাদের পাশে আছেন। কিন্তু প্রশাসন আমাদের পাশে নেই। মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা নিষিদ্ধ হওয়া সত্তেও তা বন্ধ করা হচ্ছে না।
তার দারী, প্রাইভেট গণপরিবহন (কার, মোটর সাইকেল) বন্ধ করতে হবে। কিছু শোরুম থেকে কিস্তির লোভে সিএনজি অটোরিকশা কিনে প্রতারণা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা দাবি করেন জাকারিয়া।
তিনি বলেন, একটি সিএনজি অটোরিকশা কেনার পর শোরুম নিজ দায়িত্বে কাগজপত্র তৈরি করে দেয়ার কথা থাকলেও কিস্তিতে গাড়ি বিক্রি করার শর্তে এই কাগজ পত্রের ঝামেলা ক্রেতাদের ঘাড়ে চাপায় শোরুমগুলো। গাড়ির কাগজপত্রের জটিলতা অন্যদিকে কিস্তির টাকা জমা দিতে বাধ্যহয়ে অনটেস্ট গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামছেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা। এছাড়া সিলেটে সড়কের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি, তাই নতুন গাড়ি না বাড়ানোর লক্ষ্যে শোরুমগুলো বন্ধ করতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ