Sobujbangla.com | বছরের শুরুতে বই না পেলে শিশুদের মনের প্রভাব পড়বে! (ভিডিও)।
News Head

বছরের শুরুতে বই না পেলে শিশুদের মনের প্রভাব পড়বে! (ভিডিও)।

  |  ১৭:৫২, ডিসেম্বর ২০, ২০২০

নতুন বছরের শুরুতে নতুন বই না পাওয়ায় শিশুদের মনে যে প্রভাব পড়বে তাতে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা শিক্ষাবিদদের। করোনাকালে কিভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে সে নির্দেশনা এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছেনি। এরপরও নির্ধারিত সময়ে বই পৌঁছে দিতে পারবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।
করোনা মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা আটকা ছিলো ঘরে। একটু সুযোগ পেয়ে মাঠে মুক্ত বিহঙ্গের মতো খেলায় মেতেছে শিশুরা। পুরনো শিক্ষাবর্ষ শেষে অপেক্ষা নতুন বর্ষের। নতুন করে বেড়েছে ছুটি। তবে অনিশ্চয়তা কাটেনি ভর্তি আর নতুন বই নিয়ে।
এবার প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ২ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ১০ কোটি ২৫ লাখ বই ছাপানো হচ্ছে। আর মাধ্যমিক স্তরে ১ কোটি ৮৫ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ২৪ কোটি ১০ লাখ বই ছাপা হচ্ছে। এবার বই উৎসব হবে না, এটি মেনে নিতে পারছে না শিশুরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার জন্য আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারি নাই। এজন্য পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছর নতুন বই পেলে ভালো লাগে। সেই আনন্দটা বছরের প্রথম দিন এবার পাবো না।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, করোনার কারণে অনেক দিন ধরে খেলতে পারি না। তাই এখন খেলতে বের হয়েছি মাস্ক পড়ে। নতুন বই নিয়ে শঙ্কা দূর না হলে দাগ কাটতে পারে শিশুদের মানসিকতার ওপর।
শিক্ষাবিদ সৌমিত্র শেখর বলেন, বছরের শুরুতে বই না পেলে শিক্ষার্থীদের কিছুটা খারাপ তো লাগবেই। সেই জায়গাতে অভিভাবক ও শিক্ষকরা মানসিকভাবে তাদের সহযোগিতা করতে হবে।
এখনো সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছায়নি। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের জড়ো না করে বিকল্প পন্থায় বই পৌঁছে দেয়ার উপায় খুঁজছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, প্রক্রিয়াটি কি হবে সে ধরণের নির্দেশনা পাবো আমরা। সবাইকে তো আর এক সাথে ডাকা যাবে না। মোবাইলে বার্তা দিয়ে বা অভিভাবকদের কাছে বই দেয়া হতে পারে।
নতুন বছরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বইয়ের প্রচ্ছদের ভেতরের অংশে জাতীয় ব্যক্তিত্বদের ছবি সংযুক্ত করা হচ্ছে। এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান নতুন বর্ষে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিভাবে শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিবে সে বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের একটি নির্দেশনা আছে।
বই ছাপার কাজে এখনই গতি আনতে না পারলে ১ জানুয়ারি অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ