Sobujbangla.com | প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
News Head

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।

  |  ১৯:৪১, মে ০২, ২০১৯

ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় সাইক্লোন শেল্টার, আশ্রয়কেন্দ্র, পর্যাপ্ত ত্রাণসহ ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ। নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এসব জেলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব শাখা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে আঘাত হানলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খুলনার মোংলা অঞ্চল। তাই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জোরেসোরে চলছে মাইকিং। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭০ টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১০৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া, উপকূলের ১২টি পয়েন্টে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের ২২ টি উদ্ধারকারী জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
‘ফণী’ ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বরিশালে দুই শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ১০ টি উপজেলার ৮৫ টি ইউনিয়নে ১ টি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ২৮১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৯ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি বরিশাল সদর হাসপাতাল ও শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্যোগকালীন জরুরী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, তালতলী ও আমতলী উপজেলায় ৩শ’ ৩৫ টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন। যাতে দেড়লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম।
পটুয়াখালীর উপকূলে লাল পতাকা টাঙিয়ে ঘুর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেত দিয়ে জনগণকে সচেতন করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজারে বিশেষ প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার ১০ হাজার কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চারলাখের মানুষকে নিরাপদে রাখতে খোলা হয়েছে ৫৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় কাজ করবেন প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
চট্টগ্রামের ১৬ টি উপজেলায় ১ টি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে ৩ হাজার ৭শ’ আশ্রয় কেন্দ্র। দুর্যোগকালীন কাজ করবেন ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, মাইকিং করে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া, ফেনী, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, মাদারীপুর, পিরোজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন। ‘ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ