Sobujbangla.com | অপহরণ করা হয়নি।বরং তরুনীটি স্বেচ্ছায় তার ‌‌`কথিত` স্বামীর সাথে পালিয়েছিলেন
News Head

অপহরণ করা হয়নি।বরং তরুনীটি স্বেচ্ছায় তার ‌‌`কথিত` স্বামীর সাথে পালিয়েছিলেন

  |  ১৭:৫০, এপ্রিল ২৮, ২০১৭

অপহরণ করা হয়নি।বরং তরুনীটি স্বেচ্ছায় তার ‌‌`কথিত` স্বামীর সাথে পালিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।। ঘটনার পর রাতেই তাদের দুজনকে উদ্ধার করেছে শাহপরান থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, তরুণ-তরুণীকে কে জিজ্ঞাসবাদে জানা যায় যে, ২০১৫ সালে তারা ধর্মীয় সকল রীতিনীতি মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। তাদের বিয়ে পরিবার মেনে নিচ্ছে না। সেজন্য মেয়েকে অনত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল মা।খবর পেয়ে স্বামী তার বউকে উদ্ধার করে।
জানাযায়, মা তাদের বিয়ে সম্পর্কে পূর্বেই অবগত ছিলেন। তবুও তিনি এএসআই নুরুল ইসলামকে দায়ি করেছিলেন।
প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনেই বর্তমানে শাহপরাণ থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের আদলতে চালান দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
জানাগেছে, সিলেট শহরতলীর মিরাপাড়া এলাকার সোহেল আরমানের সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় ওসমানীনগর উপজেলার রাইকদাঁড়া গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস মৃদুলের (২১)।
নগরীর ইসলামপুর এলাকায় মামার বাড়ি আসা যাওয়ার সময় সোহেল আরমানের সাথে তার পরিচয়। তারা পরস্পরের প্রেমে পড়েন এবং গোপনে বিয়েও করেন। সোহেলের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।
এ বিয়ে মৃদুলের পরিবার মেনে নেয়নি। তারা তাকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন। সোহেল মৃদুলকে ফিরে পেতে কিছুদিন আগে আদলতে মামলাও করেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মৃদুল তার মাকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে উপশহরস্থ বি- ব্লকের এবিসি পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় পুলিশ গাড়ীটি থামিয়ে কাগজপত্র চেক করতে থাকে।
এসময় হঠাৎ কয়েকটি মোটর সাইকেলে করে একদল যুবক এসে মৃদুলকে ঘিরে ধরে। এই ফাঁকে সে সিএনজি থেকে নেমে মোটর সাইকেলে করে সোহেলের সাথে পালিয়ে যায় এমনটাই বলছে পুলিশ।পরে গভীররাতে শাহপরাণ থানার পুলিশ তাদের দুজনকে উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃদুল এবং সোহেলের বিয়ের কাবিনও আছে। মৃদুল স্বেচ্ছায় তার স্বামীর সাথে গিয়েছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরাণ থানার ওসি আখতার হোসেন জানিয়েছেন, ওদের বিয়ের কাগজপত্র আছে। তবে আমরা তাদের আদালতে হস্তান্তর করবো। তাদের ব্যপারে সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ