দুই ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার।
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও বানিয়াচং উপজেলা থেকে দুই ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার মধ্য বালিয়ারি গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র উপজেলায় আতাউর রহমান (৫৫) ও বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামের রোমান মিয়া (২২)।
বৃহস্পতিবার সকালে চুনারুঘাট ও বানিয়াচং উপজেলার পৃথক পৃথক এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়াড়ি গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে ইজিবাইকচালক আতাউর রহমানের (৫৫) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর পর সকাল সাড়ে ৮টায় বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামের পাশের হাওর থেকে উদ্ধার করা হয় রোমান মিয়া (২২) নামে ইজিবাইকচালকের আগুনে ঝলসানো মৃতদেহ।
জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়াড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে আতাউর রহমানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুকুরটির অবস্থান এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরী বাড়ির পিছনে। নিহত চালক এই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে রাতে বাড়িতে ফিরেননি আতাউর রহমান। তার স্বজনরা খোঁজাখুজি করেও তাকে পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে চেয়ারম্যানের বাড়ির পুকুর পাড়ে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে চালকের ইজিবাইক পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ইজিবাইক ছিনতাইর জন্যই এই হত্যাকাণ্ড হবার ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি হিল্লোল রায়। অপরদিকে, সকাল ৮টার দিকে বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামের পাশে একটি হাওর থেকে উদ্ধার করা হয় রোমান মিয়ার আগুনে ঝলসানো মরদেহ। তবে তার মুখমণ্ডল দেখে স্থানীয়রা পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছেন। রোমান মিয়া এই ইউনিয়নের ইকরাম গ্রামের মৃত শের আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে রোমান মিয়া সিএনজি নিয়ে বের হলে আর বাড়ি ফেরেন নি। বৃহস্পতিবার তার লাশটি হাওরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন শ্রমিকগণ। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার সুজাতপুর তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এই হত্যাকাণ্ডকেও ইজিবাইক ছিনতাই করার জন্য সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে জানিয়ে বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, পুলিশ সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার ও হত্যার কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছে। আর সুরতহাল রিপোটের পর ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।