রাসেলকে ছাড়া ইভ্যালির ঋণ পরিশোধ সম্ভব নয়: মার্চেন্ট ও ভোক্তারা
ইভ্যালির মোহাম্মদ রাসেলকে ছাড়া মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের সংখ্যা জানা, ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মার্চেন্ট ও ভোক্তারা। ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম স্পষ্ট নয় বলেও অভিযোগ করেন তারা। ভোক্তাদের মতে, এ পরিচালনা কমিটি ইভ্যালির গাড়ি বিক্রি না করে ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ করতে পারতো। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মলেনে এসব কথা বলেন ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তারা। ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজিউমার কো-অর্ডিনেশন কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় তারা শর্ত সাপেক্ষে ও মার্চেন্টদের জিম্মায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজিউমার কো-অর্ডানেশন কমিটির সহ-সমন্বয়ক সাকিব হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ব্যবসার পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ বা সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে। এ সংকট মোকাবিলা ব্যর্থ হলে পরিবারসহ পথে বসতে হবে ইভ্যালির মার্চেন্টদের। আলোচনার মাধ্যমে ইভ্যালির সংকট নিরসন করে প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। সাকিব হাসান বলেন, ইভ্যালির প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক ও প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি বিক্রেতা ও অসংখ্য স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে। সামান্য কিছু গ্রাহক ছাড়া ইভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এছাড়া ইভ্যালির সঙ্গে লেনদেন করে বেশিরভাগ ভোক্তা বা মার্চেন্ট অসন্তোষ ছিলেন না। একটা অপশক্তি ইভ্যালিকে বন্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ছাড়া কেউই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে মার্চেন্টদের বকেয়া দিতে পারবে না। প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তারা দু’জন এখনও কারাগারে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির পরিচালনার দায়িত্ব নেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তার নেতৃত্বে গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ। ওই পর্ষদ তিন মাসে নয়টি বোর্ড সভার পাশাপাশি ইভ্যালির অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারে নানামুখী কার্যক্রম নিয়েছে। পর্ষদ এ পর্যন্ত সিটি ও সাউথইস্ট ব্যাংকে থাকা ইভ্যালির দুটি অ্যাকাউন্ট এবং ২৪টি গাড়ি ও ৯টি গুদামের সন্ধান পেয়েছে। ৩১ জানুয়ারি ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে দুটি লকার খোলা হয়। সেখানে পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেকবই, ফাইলপত্র ও ২ হাজার ৫৩০ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজিউমার কোঅর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা চাচ্ছি ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতাকে মুক্তি দেওয়া হলে প্রথমেই আমাদের বকেয়া পরিশোধ করার দরকার নেই। আগে ব্যবসাটা চালিয়ে নেওয়া হোক। লিখিত আকারে আমাদের দাবি ইভ্যালির নতুন কমিটিকে জানানো হয়েছে। তবে তারা আমাদের কথা শুনছেন না, মতামত নিচ্ছেন না।