হিজড়া জনগোষ্ঠী সমাজের বোঝা নয় : এডিসি (সার্বিক)
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এইচ.এম. মাহফুজুর রহমান বলেছেন, হিজরা জনগোষ্ঠী আমাদের মতো মানুষ। তারাও আমাদের মতো পরিবারের সাথে বসবাস করতে চায়। কিন্তু আমরা তাদেরকে আড় চোখে দেখায় তারা আমাদের থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে আড় চোখে না দেখে সাবাই এগিয়ে আসা উচিত।তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। বর্তমান সরকার হিজরা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা তাদের নিয়ে কাজ করছে। সিলেটে যারা রয়েছে তারা যদি নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে চায় ও কাজ করতে চায় তাহলে জেলা প্রশাসন থেকে তাদের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া হবে। হিজরা জনগোষ্ঠী এখন আর সমাজের জন্য বোঝা নয়। তারা সমাজের অংশ। রোববার বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির(বন্ধু) আয়োজনে ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রকল্প’র আওতায় বেইজলাইন গবেষণা ও জনধারণা যাচাই’র প্রাপ্ত তথ্য অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। পলিসি এ্যাডভোকেসী এন্ড হিউম্যান রাইটস ও বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির(বন্ধু) পরিচালক উম্মে ফারহানা জেরীফ কান্তার সভাপত্বিতে ও বন্ধু প্রকল্প সমন্বয়কারী মো.মুজিব উল্যাহ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার ও হবিগঞ্জ জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিসাব রঞ্জন দাশ। বিশেষ অতিথির তাঁরা বলেন, হিজরারাও তো মানুষ! তাদেরওতো সমাজের অন্য পাঁচজনের মতো বেঁচে থাকার অধিকার আছে৷ স্বাভাবিক চলাফেরার অধিকার আছে৷কিন্তু আমরা সবসময় তাদেরকে বিভিন্ন চোখে দেখি। তাই তারা আমাদের থেকে দূরে থাকতে চায়। আমরা তাদেরকে কাছে নিলে বিভিন্ন অপরাধ থেকে দূরে থাকবে। অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদের পরিচয় দিতে চান না। কিন্তু কেন? অন্য দু-একজনের মতো এরাও আপনার আমার সন্তান।তাই তাদেরকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। তাঁরা আরও বলেন, সরকার সমাজ সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিচ্ছে। যেখানে চাইলেও হিজরারা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদেরকে আত্মনির্ভশীল ভাবে গড়ে তুলতে পারবে। হিজারাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত রয়েছে। যারা ইতোমধ্যে উদ্যোক্তা হয়ে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সমাজের বোঝা হয়ে নয় দক্ষতার সাথে কাজ করে নিজেদের প্রমাণ করুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও হিজরা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।