আবৃত্তি পদক ২০২১ পেলেন একুশে টেলিভিশনের সিইও পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
আবৃত্তি, বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন কিংবা চলচ্চিত্র; তিনি অভিনয় করেছেন সব মাধ্যমে। তার সাবলীল অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছে দশকের পর দশক। ভরাট কণ্ঠের আবৃত্তি ও সংলাপে তিনি মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। তিনি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন লেখকও। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এছাড়া বেশ কিছু গল্প ও উপন্যাসের বইও রয়েছে তার। মঞ্চ নাটকে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অসামান্য। নামি নাট্যদল ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম সদস্য তিনি। এই দলের হয়ে তিনি বহু নাটকে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আছে- ‘কীর্তনখোলা’, ‘প্রাচ্য’, ‘বনপাংশুল’, ‘শকুন্তলা’ ও ‘বাসন’ ইত্যাদি। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন ‘একাত্তরের যিশু’, ‘মহামিলন’, ‘উত্তরের খেপ’, ‘কিত্তনখোলা’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘আধিয়ার’, ‘আমার আছে জল’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, ‘গেরিলা’, ‘মৃত্তিকা মায়া’ ও ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ ইত্যাদি সিনেমায়। এর মধ্যে ‘কিত্তনখোলা’ সিনেমায় তার ইদু কনট্রাক্টরের চরিত্রটি দাগ কেটেছিল দর্শকদের হৃদয়ে। এছাড়া ‘গেরিলা’র মতো সফল সিনেমায় তার অভিনয় এখনো মনে আছে দর্শকদের। কর্মজীবনে তিনি বহুমাত্রিক, তার সাফল্য বহুবিদ। তিনি একজন নেতা, একজন নায়ক, একজন বন্ধু ও একজন অভিভাবক। মানুষকে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা তার মাঝে অশেষ। তিনি একজন শক্তিমান নেতা যিনি সবাইকে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করেন এক আদর্শতলে আসতে। কর্মের প্রতিনিষ্ঠা, একাগ্রতা ও সততার মাধ্যমে নিজেকে আলোকিত করেছেন সর্বমাঝে। তার জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের সংমিশ্রণ প্রতিনিয়ত কাজ করেছে পৌঁছে দিতে সম্মানের শিখরে।