Sobujbangla.com | হদিস নেই ‘ক্লিন সিটি’ গড়ার ডাস্টবিনের
News Head
 বলের চমক আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দারুণ শুরু,। সিলেটে বিক্ষোভ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এই দেশ সকলের। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবো,। বাংলা দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী গন অধিকার পরিষদ থেকেই হবে। আবারও সহযোগিতা করল যুক্তরাষ্ট্র, রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার অজিত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আওয়ামী লীগের, সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেপ্তার। পুলিশের ওপেন হাউজডে-মতবিনিময় সভা দোয়ারাবাজারে । সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি ওসি মঈনকে ছেড়ে দেয়ায় সিলেট ক্ষোভ। ৮ দফা দাবিতে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। গ্রেফতার ২ ধর্ষণ স্কুলছাত্রী অভিযোগে কমলগঞ্জে।

হদিস নেই ‘ক্লিন সিটি’ গড়ার ডাস্টবিনের

  |  ২০:২৬, জানুয়ারি ২৪, ২০২২

পুণ্যভূমি সিলেট নগরীকে ‘ক্লিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে স্থাপন করা ডাস্টবিনের এখন আর হদিস নেই। নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দুই শতাধিক ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৬ সালে নগরীতে ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করা হয়। স্থাপনের মাত্র সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে প্রায় সবকটি ডাস্টবিন হাওয়া হয়ে গেছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) বিধায়ক রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তেই বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছিল সিসিক। এখন অনেক ডাস্টবিন যথাস্থানে নেই। কেউ না কেউ হয়তো নিয়ে গেছে। এগুলো জনগণের সম্পদ। এগুলো রক্ষায় জনগণেরও নজর রাখা প্রয়োজন। জনগণের নজরদারি থাকলে আগামীতে ডাস্টবিনগুলো স্থাপনকৃত জায়গায় থাকবে। তিনি জানান, নতুন ডাস্টবিন কেনার জন্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ডাস্টবিন এনে স্থাপন করা হবে। নতুন ডাস্টবিন স্থাপনের পর আর এই সমস্যা থাকবে না। সিসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে ডাস্টবিন দেয়ার পর ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনেই ফেলা হতো। বর্তমানে অনেক জায়গায় ডাস্টবিন নেই। কিছু স্থানে ডাস্টবিন ভেঙে গেছে। আবারও কোথাও ডাস্টবিন চুরি হয়ে গেছে। ডাস্টবিনগুলো না থাকায় বর্তমানে অনেকে রাস্তায় আবর্জনা ফেলে দেন। এর ফলে আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরও কাজ বেড়েছে। আগে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে আবর্জনা তুলে নেয়া হতো। এখন বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নিতে হচ্ছে। যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে নতুন করে ৫০০ ডাস্টবিন কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। সিসিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে সিলেট নগরীকে ক্লিন সিটি গড়ার লক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডাস্টবিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্যে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ও মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স সার্ভিসেস প্রজেক্ট (এম.জি.এস.পি) এর আওতায় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সিসিক। এজন্য তৈরি করা হয়েছিল হলুদ ও নীল রংয়ের শক্ত প্লাস্টিকের তৈরি দুই শতাধিক ডাস্টবিন। ‘আপনার শহর পরিষ্কার রাখুন-আমাকে ব্যবহার করুন’-লেখা সম্বলিত ডাস্টবিনে সিসিকের লোগোও দেয়া হয়। ডাস্টবিনগুলো তৈরিতে ব্যয় হয় ৯ লাখ টাকা। নিচে চাকা সম্বলিত ডাস্টবিনগুলো যাতে চুরি করা না যায়-এজন্য এগুলো তালাবদ্ধও করে দেয়া হয়েছিল। নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার,পূর্ব-জিন্দাবাজার,বারুতখানা, রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, নাইওরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছিল। হোটেল-রেস্তোঁরা, বিভিন্ন মার্কেট ও বিপনি বিতানের আবর্জনা যাতে রাস্তার উপর ফেলা না হয়-এজন্য রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা মোড়ে মোড়ে ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করা হয়। প্লাস্টিকের তৈরি ডাস্টবিন স্থাপনের কয়েক মাস আগে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে নগরীতে স্থাপন করা হয়েছিল আরও ২৫ টি ডাস্টবিন। স্টিলের তৈরি এই ২৫টি ডাস্টবিন বেশ চকচকে হওয়ায় লোকজনের নজর কাড়ে। ডাস্টবিনগুলো স্থাপনের পর লোকজন ডাস্টবিনে আবর্জনা ফেলা শুরু করেন। কিন্তু ধীরে ধীরে ডাস্টবিনের সংখ্যা কমতে শুরু করে। এক সময় প্রায় সবকটি ডাস্টবিন হাওয়া হয়ে যায়। কিছু কিছু এলাকায় স্টিলের ফ্রেম পড়ে থাকতে দেখা গেলেও ডাস্টবিনের আর দেখা মেলে না। মাত্র কয়েকটি ডাস্টবিন এখন দেখা যায় বলে লোকজন জানিয়েছেন। ২০১৬ সালে ডাস্টবিন স্থাপনকালে নগরী থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫০ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হতো। এরপর প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেছে। বেড়েছে বর্জ্যরে পরিমাণও। বিপুল পরিমাণের এই বর্জ্য নগরীর পাড়া-মহল্লা, হোটেল-রেস্তোঁরা, ক্লিনিক ও হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করে নগরীর কয়েকটি ডাম্পিং পয়েন্টে রাখা হয়। এর বাইরেও নগরীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার দৃশ্যও চোখে পড়ে। এমনকি প্রধান সড়কেও মাঝে মধ্যে আবর্জনার স্তুূপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে প্রায়ই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু এলাকায় নগরবাসীকে মুখে রুমাল চেপে চলাচল করতে হতো। ওই অবস্থায় নগরীর ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে সিসিক ডাস্টবিন স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ