মোমের আলোয় দূর হোক অন্ধকার, ফিরে আসুক আলো
শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন তারা। গোল চত্বরে উপাচার্য বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর গত রোববার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার তথ্যচিত্র এবং অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করেন তারা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের শারীরিক অবস্থা যতটা অবনতি হয়েছে, মানসিক দৃঢ়তা এবং শক্তি ততটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘ এর আগে সন্ধ্যায় গণ-অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে নতুন আরও শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ জনে। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আবারও অনশনে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে চলমান চলমান সংকট সমাধানে শিক্ষার্থীরা যখন চাইবেন শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল তখনই শাবিপ্রবিতে আলোচনার জন্য যাবেন। ব্যক্তিগত কারণে শাবিপ্রবিতে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ শনিবার সন্ধ্যায় শাবিপ্রবির শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই সমাধান চাই তার জন্য আমাদের আলোচনা বসা প্রয়োজন। আলোচনা সভায় বসার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় দ্বার খোলা রয়েছে। তারা যখন চাইবেন তখনই আলোচনা হবে। আমি পারিবারিক কাজের কারণে যেতে পারছি না। তবে প্রয়োজন হলে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে যেতে পারেন।