এমপি রতনের কেন্দ্রে মাত্র ৫৪ ভোট পেলো নৌকা
পঞ্চম ধাপে সুনামগঞ্জের তিন উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিলো ভোট গ্রহণ। এইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নিজ ইউনিয়ন পাইকুরাটিতে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। এমপির নিজের কেন্দ্র পাইকুরাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএমএ রেজা পহেল পেয়েছেন মাত্র ৫৪ ভোট। একই কেন্দ্রে এমপির ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত মো. রোকনুজ্জামান পেয়েছেন ১ হাজার ৫১৪ ভোট। নৌকায় ভোট কম পাওয়ার জন্য এমএমএ রেজা পহেল এমপিকেই দায়ী করেছেন। এছাড়া বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হক ইকবালকেও এমপি পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করায় ৫ হাজার ১০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বলে রেজা পহেল দাবি করেছেন। এমএমএ রেজা পহেল ৪ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে ইকবালের কাছে পরাজিত হন। মোজাম্মেল হক ইকবাল নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে ইতোমধ্যে বহিস্কার হয়েছেন। এমএমএ রেজা পহেল অভিযোগ করেন, এমপি রতনের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজি মাসুদ, পাইকুরাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মাফিজ আলী (এমপির চাচা) নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগীতা করেছেন। তিনি বুধবার রাতেই ভাটগ্রাও ও থানুরাপাছাম কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি করে নৌকার ভোট বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে নেওয়া হয়েছে দাবি করে ফলাফল পুনর্গণনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন। এমএমএ রেজা পহেল বলেন, ‘এমপি রতনের মদদে নৌকাকে ফেল করানো হয়েছে এবং পরোক্ষভাবে ইকবাল ও রোকনুজ্জামানকে সহযোগীতা করেছেন তিনি (এমপি)। এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ভোট সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হয়েছে, হারলে অনেক কথাই বলা যায়, ক্ষোভে দুঃখে এসব কথা বলে অনেকে, ভোটের দিন আমি নির্বাচনী এলাকায় ছিলাম না, রোকনুজ্জামানের বাড়ি আমার গ্রামে। এর বেশি আমি মন্তব্য করবো না।