Sobujbangla.com | টাঙ্গুয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াচ-টাওয়ার।
News Head

টাঙ্গুয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াচ-টাওয়ার।

  |  ১৭:৩১, নভেম্বর ২০, ২০২০

মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরনার স্রোতধারা টাঙ্গুয়ার হাওর। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ হাওর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। স্থানীয়দের কাছে হাওরটি ‘নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল’ নামেও পরিচিত। শীতকালে, সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরও আবাস এই হাওর।
দেশের দ্বিতীয় এ রামসার সাইটের সৌন্দর্য অবলোকন করতে প্রতিদিন-ই দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন। হাওরের বিস্তৃত সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকদের জন্য এখানে একটি পর্যবেক্ষণ (ওয়াচ) টাওয়ার নির্মাণ করে বন বিভাগ। অব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাবে যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াচ-টাওয়ারটি সংস্কারে এখনও পর্যন্ত কোন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরের গোলাবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালে ওয়াচ-টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়। বন বিভাগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দরপত্র আহ্বান করে তাদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত টাওয়ারটির উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গোলাবাড়ি টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রবেশ মুখের একটি জায়গা। এখানকার হিজল বন পর্যটকদের খুবই প্রিয়। গোলাবাড়ির হিজল বনের পাশেই পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। টাওয়ারের উত্তরে হাওরের রূপাবই বিল। বিলের উত্তরে ভারতের মেঘালয় পাহাড়। এই টাওয়ার থেকে হাওরের বিস্তৃত সৌন্দর্যের সহসাই দেখা মিলে।
কিন্তু অনেক আগেই টাওয়ারে ওঠার মুখে পাকা সিঁড়ির কিছু অংশ ভেঙে গেছে। দুই পাশে ছিল স্টিলের রেলিং। এখন মাঝখানে রেলিংও নেই। টাওয়ারের একেবারে ওপরে যেখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা হাওর দেখবে সেখানের চারদিকের স্টিলের রেলিং অনেক আগেই চুরি হয়ে গেছে। যার কারণে ওপর থেকে পড়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য টাওয়ারে ওঠা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারটির উপরের রেলিং ২-৩ বছর আগেই চুরি হয়ে গেছে। বর্তমানে টাওয়ারটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষায় হাওরের পানিতে টাওয়ারটির ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। রেলিং না থাকায় অসাবধানতার জন্য যেকোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ